শিরোনাম
‘ভারত-বাংলাদেশ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে’
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৮, ২২:২৫
‘ভারত-বাংলাদেশ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে’
রাজশাহী ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশ সব সময় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে এবং আগামিতেও করবে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।


শনিবার দুপুরে রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত পুলিশ একাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবন ও আইটি সেন্টারের উদ্বোধন এবং সহযোগিতামূলক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ কথা বলেন তিনি।


রাজনাথ বলেন, শুধু সন্ত্রাসবাদ নয়, চরমপন্থা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধেও একসাথে কাজ করছে ভারত-বাংলাদেশ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরা এই নীতির প্রশংসা করি।


রাজনাথ সিংয়ের সাথে যৌথভাবে এ ভবন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পরে দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি ও সরদার বল্লবভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমির মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।


এ সময় রাজনাথ সিং দু’দেশের সম্পর্কের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংস্থাসমূহের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে যার প্রতি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের মতাদর্শ থেকে আমাদের জনগণ ও সমাজকে রক্ষার অভিন্ন অঙ্গীকার থেকে আমাদের এ সহযোগিতার উৎপত্তি।


তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাসমূহকে প্রশিক্ষণ দিতে আমাদের সহযোগিতামূলক কর্মসূচি ভালোভাবে এগোচ্ছে। গত কয়েকবছরে আমরা বাংলাদেশের ৬৮১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য গান্ধীনগরের গুজরাট ফরেনসিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি, গাজিয়াবাদের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এবং মেঘালয়ের নর্থ ইস্টার্ন পুলিশ একাডেমিতে নানা বিশেষায়িত পাঠ্যক্রমের ৩০০টি স্লটের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ চাইলে এ বিষয়ে আমরা আরো সহযোগিতা করবো।


এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি এদেশের সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে। তাদের সুনাম এখন পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক দেশ এখন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আমাদের অনুসরণ করছে।


আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি ও ভারতের ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতামূলক যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো তার মধ্য দিয়ে দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা আরো প্রশিক্ষিত হবার সুযোগ পাবে। তারা নিয়মিত ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে পারবে, নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে।


অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবন’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় অনুদানে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটির বর্তমানে প্রায় ৫৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ ভবনটিতে থাকবে অত্যাধুনিক ফরেনসিক ল্যাবরেটরি, ছদ্ম অপরাধ দৃশ্য, নকল থানা, কম্পিউটার ল্যাবসহ আইটি সেন্টার।


বিবার্তা/তারেক/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com