নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেছেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। এজন্য ৩০ অক্টোবরের আগেই সব প্রস্তুতি শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার দুপুরে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে অপর নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আজকের বৈঠকে বেশ কিছু এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকার কমপ্যাক্ট ডিস্ক প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দেয়া হবে ৩০ অক্টোবরের আগেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তফসিলের আগেই নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।
সচিব বলেন, প্রতি বছরের ১ মার্চ ভোটার তালিকা দিবস হিসেবে সরকার ঘোষণা দিয়েছেন। এ দিবসটি জাঁকজমকভাবে পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য প্রতিটি জেলা উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। দিবসটি পালন করলে জনসাধারণের মধ্যে ভোটাধিকার, নির্বাচন ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
তিনি জানান, আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে (রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল) ইভিএম ব্যবহারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। বরিশালে ১০টি ও সিলেট ও রাজশাহীতে দুটি করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আসন্ন কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনেও তিনটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয়ের সিদ্ধান্ত দিলেও আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় বিষয়টি থাকছে না। তবে তারা (হিজড়া) নারী কিংবা পুরুষ হিসেবে ভোট দিতে পারবেন। তবে কেউ যদি দরখাস্ত করেন তবে তাদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সচিব জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে না। তবে কেউ নিজে এসে ভোটার হতে চাইলে তাকে ভোটার করা হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]