সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার পর্যালোচনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দফতরে রবিবার বেলা ১১টার পর এ বৈঠক শুরু হয়।

গত সোমবার (২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষিদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়।

কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এই কমিটিকে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা বা সংস্কার বা বাতিলে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনে বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের যৌক্তিকতাসহ সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর প্রায় তিন মাসেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে আবারো আন্দোলনে নামে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর আজ প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসলো।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

বিবার্তা/জাকিয়া