শিরোনাম
‘বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাই সবচেয়ে বেশি মেধাবী’
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০১৮, ১২:৫১
‘বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাই সবচেয়ে বেশি মেধাবী’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা এতো মেধাবী যে আমি মনে করি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাই সবচেয়ে মেধাবী।


তিনি বলেন, দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই মেধাবীদের উৎসাহিত করতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খুঁজে বের করে তাদের পুরস্কৃত করছে সরকার।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৮’ উপলক্ষে রবিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ী ১২ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম বাংলায় সোনার টুকরো ছড়িয়ে আছে। আমরা সেই সোনার টুকরোগুলো খুঁজে বের করছি। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রী নিজের বিদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমি দেখেছি আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের ছেলেমেয়েদের দুই দুইয়ে কত হবে জিজ্ঞেস করলে গুনতে বসবে, কিন্তু আমাদের ছেলে মেয়েরা সহজেই বলে ফেলবে চার।


শেখ হাসিনা বলেন, সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মেধাবী হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। দেশে বিদেশে বহু জায়গায় গিয়ে আমার এ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি এইটুকু আশা করবো যে, আমাদের ছাত্ররা মন দিয়ে পড়ালেখা করবে। দেশের জন্য কাজ করবে।


মেধাবীদের মেধা কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেয়াটাই তার সরকারের কাজ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের দেশে বিদেশে কাজের সুযোগ করে দেয়া হবে। যাতে তারা নিজেদের মেধা মননের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন।


আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য নতুন নতুন বিষয় সংযোগ করতে হবে। এ কারণে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জাতি গড়তে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার।


তিনি আরো বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি কুদরত-ই-খুদা কমিশন গঠন করেছিলেন। কিন্তু ৭৫’এর ১৫ আগস্ট জাতির জনককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব দিক থেকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়।


তিনি বলেন, এরপর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়।


মেধা অণ্বেষণ সাময়িকিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থী সিরাতুল মোস্তাকিমের লেখা ‘ইমপরটেন্স অব ইথিকস অ্যান্ড মোরালিটি ইন আওয়ার লাইফ’ আর্টিকেলের ভুয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।


দেশব্যাপী সুপ্ত প্রতিভার খোঁজে ষষ্ঠবারের মতো বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে অংশ নেয়ার পর জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।


এবারের প্রতিযোগিতায় ১০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সেরা ১২ জনকে বাছাই করা হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম, নবম থেকে দশম এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভাগ হয়ে তিনটি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।


অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com