শিরোনাম
‘বাংলাদেশ পারে, পারবে’
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০১৮, ১৪:০১
‘বাংলাদেশ পারে, পারবে’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ পারে, পারবে। আর এজন্যই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। সাহস নিয়ে কাজ করলে কোনো কিছুই বাধা হতে পারে না। যেমন পদ্মা সেতু আমাদের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।


তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, দেশের জন্য। আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য কিন্তু ক্ষমতায় বসে ক্ষমতা ভোগ করা নয়; জনসেবা করা। দেশকে গড়ে তোলা। দেশের মানুষের কল্যাণ করা।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার সকালে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ২০১৬-১৭ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন বিভাগ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়কে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।


যত বাধাই আসুক না কেন, তা অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করা হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা ও পরিকল্পনা নেয়ার মতো চিন্তাভাবনা। আমরা দেশের সম্পর্কে চিন্তা করে যে পরিকল্পনা করি, সেই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে পরিচিত করি।


তিনি বলেন, ’৭১ সালে অনেকেই বলেছিল এই দেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে? তলাবিহীন ঝুড়ি হবে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম। বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বাংলাদেশ পেরেছে, পারবে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে সুখি-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।


বাংলাদেশের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরে মধ্যেই দেশ উন্নত হতো। কিন্তু দেশ সেই সুযোগ পায়নি।


বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের গতি আরো বাড়ানো এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন করতে গেলে কর্মক্ষেত্রে অনেক বাধা আসবে, বিপদ আসবে। দেশের ক্ষতি করে এমন মানুষও দেশে জন্মায়। এসব আগাছা পরিষ্কার করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।


তিনি বলেন, আমরা পথ-প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করি। আর আপনারা দক্ষতার সঙ্গে সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।


এ সময় তিনি আরো বলেন, দেশে এমন লোকও আছে যিনি একটি ব্যাংকের সামান্য একটি এমডি পদের লোভে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। এমন লোকও হয়!


প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র একটি ব্যাংকের এমডি পদের লোভে দিয়ে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের টাকা আটকে দেওয়া হলো। অথচ পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। সেই পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। যারা ফলে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের মর্যাদা পাল্টে গেছে। এখন বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী অন্য চোখে দেখে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমরা জাতিসংঘে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) স্বাক্ষর করি। এ ক্ষেত্রে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। নিজেদের পরিকল্পনা ছিল বলেই এ সাফল্য এসেছে। জাতিসংঘ যখনই কোনো উদ্যোগ নিয়েছে আমরা সেটাকে গ্রহণ করেছি এবং সফলতা দেখিয়েছি।


তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফল আমরা পাচ্ছি। প্রশাসনে কাজের মান ভালো হচ্ছে। কাজের মানের উন্নতি হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এ দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেয়া। আন্তরিকতা থাকলে যেকোনো বাধাকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা তা প্রমাণ করেছি।


শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন আমাকে গ্রেফতার করা হয় তখন আমাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নের চক্রান্ত চলছিল। আমি জেলখানায় ছিলাম, ক্ষমতায় গেলে দেশ-জনগণের উন্নয়নে কী করতে হবে সেসব ইশতেহারের পয়েন্ট আমি লিখে রাখি। এরপর তা নির্বাচনের সময় দিনবদলের ইশতেহারে যোগ করি। আমরা রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য ক্ষমতা ভোগ করা নয়, জনগণের সেবা করা।


চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমত আরা সাদেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব সফিউল আলম ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com