শিরোনাম
আরো ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হচ্ছে
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০১৮, ০০:০৯
আরো ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হচ্ছে
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশে আরো ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।


সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।


পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অর্থবছরের প্রথম একনেক সভায় মোট ৮ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে যোগান দেয়া হবে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।


মন্ত্রী বলেন, এখন সবকিছু বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। পাসপোর্ট একটি অন্যতম সেবা। নানা কারণে মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে। সেজন্যই পাসপোর্ট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। সারাদেশের মানুষ ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে যাতে ভিড় না করে এজন্য জেলা পর্যায়েই এসব সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দেশের ১৬ জেলায় নির্মাণ হচ্ছে ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এর মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে সুবিধাজনক স্থান থেকে উন্নত মানের পাসপোর্ট সেবা দেয়া সম্ভব হবে।


অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় নতুন করে পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হবে লালমানিরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, খাগড়াছড়ি, নাটোর, পঞ্চগড়, নড়াইল, জয়পুরহাট, শেরপুর এবং বান্দরবান জেলায়।


পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৫টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা দেওয়া হতো। এরপর আরো ৫২টি পাসপোর্ট অফিস সৃজন করা হয়। বর্তমান সৃজনকৃত পাসপোর্ট অফিস রয়েছে ৬৭টি, এর মধ্যে ৬৪ জেলায় ৬৪টি, ঢাকার উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে দুটি এবং চট্টগ্রামে অতিরিক্ত একটি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে চারটি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১৯টিসহ ৩৪টি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ কাজ চলমান আছে। মঙ্গলবার অনুমোদিত প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ১৬ জেলায় নতুন অফিস নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।


এদিকে, ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে গুলশানে ভূগর্ভস্থ গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৯৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।


একনেক সভায় ‘ঢাকাস্থ গুলশানে ১৩২/৩৩/১১ কেভি ভূ-গর্ভস্থ গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পসহ মোট ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ এবং ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।


তিনি বলেন, গুলশানে ভূগর্ভস্থ উপকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হবে। এতে ডেসকো এলাকায় জনদুর্ভোগ কমবে এবং নতুন গ্রাহক সংযোগ সুবিধা তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৬২৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে অর্থায়ন করবে। জুলাই, ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর, ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।


বিবার্তা/শারমিন/শাহনাজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com