মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান (রিএজেন্ট) ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করায় রাজধানীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব- ২ এর ভ্রাম্যমান আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ধানমন্ডি- ২ নম্বর রোডের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৭ম তলার ল্যাব এবং ১০ম তলার স্টোর রুমে সোমবার দুপুর ১টা থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে ময়মনসিংহ থেকে একটা অভিযোগ ছিল যে- সেখানকার পপুলারে ঢাকার মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাঠানো হতো। বাক্সের গায়ের ২০১৬ সালের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বদলে তারা নতুন করে ২০১৮ সাল লিখতো। এখানে অভিযানে এসে আমরা মারাত্মক ত্রুটি খুঁজে পাই। তাদের ল্যাবের মেশিনের ভেতরে, স্টোর রুমে বিপুল পরিমাণে রি-এজেন্ট পাই। এদের কোনোটির মেয়াদ ২০১৬ সালে কোনোটির ২০১৭ সালে শেষ হয়েছে। রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হলে টেস্টে সঠিক রিপোর্ট নাও আসতে পারে। ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসা হতে পারে। তারা ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করছে। এ কারণে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, ২০১৫ সালে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এবার অভিযানে এসে আমরা এমডি কিংবা সিইও কাউকে না পেয়ে সিলগালার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করলে এখানে চিকিৎসাধীন ও টেস্ট করিয়েছেন এমন অনেক রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে পরবর্তীতে এমন অভিযোগ পেলে তাদের আরও বড় শাস্তি দেয়া হবে।
অভিযানে র্যাব-২ এর অর্ধশতাধিক সদস্য, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পপুলার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত সংরক্ষণ ও ২৩ ধরনের অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির অপরাধে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল র্যাব। সে সময় তাদের ব্লাড ব্যাংক থেকে তিনটি রক্তভরা ব্যাগ পাওয়া যায় যেগুলোর মেয়াদ ৪-৫ দিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
বিবার্তা/খলিল/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]