রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার জোয়ারসাহারায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১১টি বাস পুড়ে ছাই গেছে। তবে এ ঘটনায় এখনো অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়াও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

শনিবার বেলা দুইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম এবং উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রথমে বেলা পৌনে ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় ডিউটি অফিসার বিবার্তাকে জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। এছাড়া এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করাও হয়নি।

পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বিবার্তাকে জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত হওয়ার পর জানা যাবে। তবে তদন্ত কমিঠি কি গঠন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখনো নিশ্চিত না।

তবে তিনি গতরাতে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুন নেভানোর পুরো বিবরণ বিবার্তাকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাত দেড়টার সময় আমি আগুন নেভাতে যাই। সেখানে উত্তরা, কুর্মিটোলা ও বারিধারার ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট দেড় ঘন্টা কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হই।

বিআরটিসির পাঁচটি দোতলা বাস ও ছয়টি একতলা বাসসহ মোট ১১টি গাড়ি পুড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়াতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়াসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই আগ্নিকাণ্ডের সূত্র কোথা থেকে বা এর পিছনে কোনো গাফিলতি আছে কি না, এটি অবশ্যই দেখা হবে।

বিবার্তা/খলিল/জাকিয়া

>>বিআরটিসির বাস ডিপোতে আগুন, ভস্মীভূত ৫ দ্বিতল বাস