সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যদি আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলি তবে এবারের ঈদযাত্রায় যানজট হবে না। সীমাবদ্ধতার পরও আশা করছি বড় কোনো সমস্যা হবে না।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধে বাংলাদেশ সড়ক ব্যবস্থাপনা অথরিটিকে (বিআরটিএ) ভৎর্সনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গ্যারেজই এসব গাড়ির উৎস। তাই এসব গ্যারেজগুলোতে জরুরি অভিযান চালাতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এলেনবাড়ী বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে শনিবার সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, ভারী বৃষ্টিতে যান-চলাচল স্লো (ধীর গতি) হতে পারে তবে থমকে যাবে না। যানবাহন বিকল হতে পারে। রাস্তায় চালকরা মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন না। মোবাইল ফোনে কথার বলতে গিয়ে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে পরিবহন মালিকপক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে যেন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারে সেজন্য গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে নিতে হবে। এজন্য কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে বিআরটিএ।

এ সময় পুলিশকে উদ্দেশে করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনাদের নাকের ডগা দিয়ে গ্যারেজগুলোতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি তৈরি হচ্ছে। আপনারা কিন্তু কেউ নজর দেন না। বিআরটিএও নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। কোনো গ্যারেজে বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট গেছে বলে আমি জানি না।

তিনি আরো বলেন, লোক দেখানো অভিযান দেখিয়ে লাভ নেই। আমি লোক দেখানো অভিযান দেখতে চাই না। যেটা কার্যকর হবে এমন অভিযান চাই।

এ সময় তিনি আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সড়কপথে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালের প্রতিটিতে একটি করে ভিজিলেন্স টিম গঠন করেন। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ট্রাফিক) আহ্বায়ক করে টিমে মোট সদস্য ১২ জন।

এই টিম আগামী সোমবার থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা তিন টার্মিনালে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত থাকবে। অতিরিক্ত ভাড়া দাবি না করা, বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহন না করা ও ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে বাস টার্মিনালে এই টিম কাজ করবে।

টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম), সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, সংশ্লিষ্ট এলাকার পেট্রোল ইন্সপেক্টর, সংশ্লিষ্ট টার্মিনাল ম্যানেজার, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি, পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধি, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) ও মোটরযান পরিদর্শক (বিআরটিএ)।

বিবার্তা/জাকিয়া