শিরোনাম
একরাম হত্যা: দায়িত্বহীন সাংবাদিকতারও দায় আছে
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০১৮, ১৮:২২
একরাম হত্যা: দায়িত্বহীন সাংবাদিকতারও দায় আছে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গত ২৭ মে রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ওই রাতেই গুলিতে নিহত হন টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক। র‌্যাব দাবি করে, ‘‘একরাম মাদক ব্যবসায়ী এবং সে বন্দুযুদ্ধে নিহত হয়েছে।’’ কিন্তু একরামের স্ত্রী প্রথম থেকেই বলে আসছেন, ‘‘তাঁকে (একরাম) পরিকল্পিতভাবে, ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। তিনি তাঁর দাবির সপক্ষে টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডও প্রকাশ করেছেন।


একরাম নিহত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন কক্সবাজার ও টেকনাফের পৌর মেয়র, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাধারণ মানুষ। তাঁদের মতে, একরাম কোনোভাবেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। আর টেকনাফ পৌর এলাকায় একরাম গত ১০ বছরেও নিজের সাধারণ মানের বাড়ির কাজ শেষ করতে পারেননি।


তাহলে কিভাবে একরামুল হক '‘ইয়াবা গডফাদার’' হলেন? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে মনে করা যেতে পারে, একরাম-হত্যায় এক শ্রেণীর মিডিয়ারও দায় আছে।


২০১০ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় একরামুলের নাম ওঠানো হয়। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই না করেই একরামুল হককে ‘ইয়াবা গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত করেছিল কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
কক্সবাজার পৌর মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী তাঁর খোলা চিঠিতে চারটি বিষয় স্পষ্ট করেন :


১. একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে ২০০৮ সালে একরামের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা হয়, যাতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন।


২. অথচ ওই মামলার সূত্র ধরে ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় একরামের নাম ওঠে।


৩. গোয়েন্দা কর্মকর্তার বদলির পর হালনাগাদ সব তালিকা থেকে একরামের নাম বাদ পড়ে।


৪. একরাম নিরপরাধ।


অপসাংবাদিকতা তাকে আগেই সামাজিকভাবে হত্যা করেছে
২০১২ সালের আগস্টে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি’র অপরাধ অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’ মাদক নিয়ে একটি পর্বে কাউন্সিলর একরামুল হককে ‘টেকনাফের ইয়াবা গডফাদার’ হিসেবে উল্লেখ করে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন মঞ্জুরুল করিম এবং প্রতিবেদক ছিলেন অপূর্ব আলাউদ্দিন।


প্রতিবেদনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকার সূত্রের কথা বলে আরো ছয় জনের সঙ্গে একরামকে ‘টেকনাফের ইয়াবা গডফাদার’ হিসেবে দেখানো হয়। একরামের ছবি দিয়ে পরিচিতিতে বলা হয়, ‘‘টেকনাফ যুবলীগের সভাপতি একরামের ইয়াবা ব্যবসা করে যে সম্পদ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে : গাড়ি ২টি আর টেকনাফে ২টি এবং চট্টগ্রামে ১টি বাড়ি৷ এছাড়া ঢাকায় আছে ফ্ল্যাট।'’


প্রতিবেদনে টেকনাফের কয়েকজনের বিলাসবহুল বাড়ি দেখিয়ে তাদের বক্তব্য প্রচার করা হলেও একরামের বাড়ি-ঘর দেখানো হয়নি। তাঁর বক্তব্যও প্রচার করা হয়নি।


সেখানেই শেষ নয়। দুই বছর পর ২০১৪ সালের আগস্টে যমুনা টেলিভিশন তাদের অপরাধ অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘৩৬০ ডিগ্রি’তে ইয়াবা নিয়ে প্রতিবেদনে আবারো একরামুল হককে ''মাদক ব্যবসায়ী'' হিসেবে দেখায়। এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন সুপন রায়। আর প্রতিবেদক একই, সেই অপূর্ব আলাউদ্দিন।


‘৩৬০ ডিগ্রি’তে উপস্থাপক ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকার কথা বলেন। আর সেই সূত্রে একরামুল হককে আরো তিনজনের সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে দেখানো হয়। ছবি দিয়ে পরিচিতি দেয়া হয়, কেকে পাড়ার একরামুল হক হিসেবে। সঙ্গে এ-ও দাবি করা হয়, এরা সাধারণ অবস্থা থেকে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।


এই প্রতিবেদনে টেকনাফের মৌলভী পাড়ার আরেকজন একরামুল হকের কথাও বলা হয়। দেখানো হয় তার বিলাসবহুল বাড়ি৷ কিন্তু ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ‘তালাশ’ অনুষ্ঠানের মতো এ অনুষ্ঠানেও কাউন্সিলর একরামের কোনো বাড়ি-ঘর দেখানো বা তাঁর বক্তব্য প্রচার করা হয়নি। একরামুলের যে ছবি ‘৩৬০ ডিগ্রি’তে দেখানো হয় সেটাও হুবহু এক। একই ছবি এর আগে ২০১২ সালে ‘তালাশ’ অনুষ্ঠানেও দেখানো হয়েছিল।


কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুললে তার পক্ষে কিছু প্রমাণ থাকতে হয়। কোনো তথ্য উপস্থাপন বা পরিবেশনের আগে তা যাচাই করাও যে কোনো সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকের কাছে প্রাথমিক প্রত্যাশা। কিন্তু দু'-দু'বার দু'-দু'টি প্রতিবেদনে কেন এর ব্যত্যয় হলো তা জানতে চাওয়া হয়েছিল প্রতিবেদক অপূর্ব আলাউদ্দিনের কাছে। টেলিফোনে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমি ২০১২ সালে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিতে ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক ছিলাম। পরে আমি যমুনা টেলিভিশনে যোগ দেই। সেখানে ২০১৪ সালের প্রতিবেদনটিও আমার করা। আমি নেতৃত্ব দিলেও আমরা টিমে ছিলাম মোট ৩ জন। তবে দুই জন এখন সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।’’
অপূর্ব আলাউদ্দিনের দাবি, ‘‘আমরা ২০১২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন করি।’’


প্রতিবদেনে একরামের যে সম্পদের কথা বলা হয়েছে সরেজমিন অনুসন্ধানে তার সত্যতা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান অপূর্ব আলাউদ্দিন। বলেন, ‘‘তখন মোট তিন জনে ভাগ করে কাজ করেছি। কেউ একরামের বাড়িতে গিয়েছিল কিনা তা এখন আমার মনে নেই। তাঁর বক্তব্য নেয়া হয়েছে কিনা তা-ও মনে করতে পারছি না।'’


প্রতিবেদনে একরামের ব্যাপারে সরেজমিন অনুসন্ধানের কোনো কথা নেই, এমনকি দু'টি প্রতিবেদনের একটিতেও তাঁর বক্তব্য নেয়া হয়নি জানানোর পরও অপূর্ব আলাউদ্দিনের একই মন্তব্য, ‘‘এতদিন পর আমার মনে নেই।’’


২০১৪ সালে যমুনা টেলিভিশনের ৩৬০ ডিগ্রিতে আবারো কাউন্সিলর একরামুল হককে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে দেখানো প্রসঙ্গে অপূর্ব আলাউদ্দিন বলেন, ‘‘এই প্রতিবেদনটিও আমরা ২০১০ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার ভিত্তিতে দেখাই। তবে তখন তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ে। আমরা তাঁকে এই অনুষ্ঠানে ইয়াবার গডফাদার হিসেবে দেখাইনি, ইয়াবার ছোট ব্যবসায়ী এবং সহযোগী হিসবে দেখিয়েছি।’’


তালিকা থেকে বাদ পড়ার পরও কেন দেখানো হলো তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিবেদনে বলেছি, এই তালিকা থেকে কারো কারো নাম বাদ পড়েছে।’’ একরামের নাম যে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তা প্রতিবেদনে সরাসরি বলা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে অপূর্ব বলেন, ‘‘না, তা বলিনি।’’


দ্বিতীয়বার প্রতিবেদন করার সময়ও একরামের কথিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান না করা এবং তাঁর সঙ্গে কথা না বলার কারণ জানতে চাইলে তারও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। শুধু বলেছেন, ‘‘সবার সঙ্গে তো আর কথা বলার সুযোগ থাকে না।’’


অপূর্ব আলাউদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, যথাযথ অনুসন্ধানের পর যমুনা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে একরামুলের সম্পদের হিসাব উপস্থাপন করেছিলেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই অনুসন্ধান করে তালিকা করেছিল। তবে আমরা অনুন্ধান করেছিলাম কিনা এখন ঠিক মনে করতে পারছি না।’’


কিন্তু কোনো সাংবাদিক কি কোনো রকম অনুসন্ধান ছাড়া শুধু একটা তালিকার ভিত্তিতে একজনকে বারবার ‘ইয়াবা গডফাদার’ এবং অনেক বাড়ি-গাড়ির মালিক হিসেবে প্রচার করতে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব আলাউদ্দিনের স্বীকারোক্তি, ‘‘অবশ্যই আমাদের অনুসন্ধান করা উচিত ছিল।’’


তবে তিনি বলেন, ‘‘যারা প্রতিবাদ জানিয়েছে, ৩৬০ ডিগ্রিতে আমরা পরে সেই প্রতিবাদ প্রচার করেছি। একরাম কোনো প্রতিবাদ দেননি।’’


‘তালাশ’-এর উপস্থাপক মঞ্জুরুল করিমের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কথা বলতে রাজি হননি। ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি’র ‘দায়িত্বশীল’ কোনো ব্যক্তিকেও কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি। আর ৩৬০ ডিগ্রি’র সেই সময়ের উপস্থাপক সুপন রায়ও ফোন ধরেননি। যমুনা টিভির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য জানাও সম্ভব হয়নি।


এই দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মতো বেশ কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়াও ২০১২-১৩ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার কথা বলে আরো অনেকের সঙ্গে একরামুল হককে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।


‘যারা মনগড়া প্রতিবেদন করে, তাদের নৈতিকতার ঘাটতি আছে'


একরাম নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মিডিয়াকে দায়ী করা নয়, আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হলো : পারসেপশন তৈরি করা। কোনো লোক ভালো না খারাপ, সেই পারসেপশন মিডিয়া তৈরি করে। ২০১৩ সাল থেকে মিডিয়া বিভিন্নভাবে একরামুল হককে গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত করেছে, পারসেপশন তৈরি করেছে। আমি যেটা বলতে চেয়েছি, তাঁকে মাদকের গডফাদার বলে সামাজিকভাবে হত্যা করা হয়েছে বহু আগেই। আর ক্রসফায়ার তাঁকে শারীরিকভাবে হত্যা করেছে। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।’’


একরাম নিহত হওয়ার পর ওসব সংবাদমাধ্যম বলছে, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছে। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল আলম খোকন বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা কেউ দেখিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব বলেছেন, তাঁরা এরকম কোনো তালিকা করেননি। এরকম কোনো তালিকা তাঁরা মিডিয়াকে দেননি। র‌্যাব মহাপরিচালকও বলেছেন, এরকম কোনো তালিকার অস্তিত্ব নেই বা কেউ বলতে পারবে না যে মিডিয়াকে দেয়া হয়েছে।’’


যাঁরা প্রতিবেদন করছেন, তারা ২০১০ সালে করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তালিকার কথা বলছেন। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল আলম খোকনের প্রশ্ন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এরকম কোনো তালিকার কোনো ভিত্তি কি আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পেরেছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা সচিব বলেছেন? যারা দেয়ার অথরিটি, তারা তো বলেননি৷ তাহলে এটা কি মিডিয়ার বানানো তালিকা?’’


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন একাধিক সংস্থার তালিকা আছে। সেই সব তালিকা যাচাই-বাছাই করে গোপন তালিকার ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও একরামের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের একাংশের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।


মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান এ প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম যার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য দেবে, তার বক্তব্য থাকা উচিত। তাকে না পাওয়া গেলেও চেষ্টা করা উচিত। চেষ্টা করা হয়েছে, তার প্রমাণ থাকতে হবে। আর যখন কোনো সম্পদের তালিকা দেয়া হবে, তা যে সূত্র থেকেই পাওয়া যাক না কেন, তা সত্য না মিথ্যা, মিডিয়ার দায়িত্ব হলো তা নিশ্চিত হওয়া। মিডিয়া যদি তা না করে মনগড়া প্রতিবেদন করে, তাহলে যারা এটা করে, তাদের নৈতিকতার ঘাটতি আছে।'’


‘ওই সাংবাদিকদের বলেন, যে বাড়ি-গাড়ির কথা বলেছে, তা আমাদের এনে দিতে’


এদিকে একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম তাঁর স্বামীকে নিয়ে ‘তালাশ’ এবং ‘৩৬০ ডিগ্রি’ অনুষ্ঠানের একপেশে প্রতিবেদন নিয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘২০১২ সালে তালাশে আমার স্বামীকে নিয়ে খবর প্রচার করা হয়। কিন্তু তালাশের সাংবাদিকরা ওই খবর দেখানোর আগে আমাদের কী আছে না আছে তা দেখতে আমাদের বাড়িতে আসেনি। আমার স্বামীর সঙ্গে কথাও বলেনি। খবর প্রচারের পর তারা টেকনাফ শহরে একবার এসেছিল, বাড়িতে নয়। আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করে তারা তখন বলেন, আপনি তো অনেক ভালো মানুষ, আমরা বুঝতে পারিনি। আমি আমার স্বামীকে প্রতিবাদ দিতে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি দেননি। তিনি বলেছিলেন আমি যে ইয়াবা ব্যবসা করি না এটা সবাই জানে। প্রতিবাদ দিয়ে কী হবে৷ ২০১৪ সালে যে আবারো আমার স্বামীকে দেখানো হয় তা আমার জানা নাই। ২০১২ সালে দেখানোর পর মাদক অফিসের লোকরা এসে তদন্ত করেও কিছু পায়নি।’’


একরামুলের স্ত্রী আরো বলেন, ‘‘আপনারা ওই তালাশের সাংবাদিকদের বলেন না, যে বাড়ি-গাড়ির কথা বলেছে তা আমাদের এনে দিতে! এখন তো একরাম নেই। ওই বাড়ি-গাড়ি পেলে অনেক উপকার হবে।’’ সূত্র : ডয়চে ভেলে


বিবার্তা/হুমায়ুন/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com