শিরোনাম
ঈদের আগে গার্মেন্টসে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা !
প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৮, ১৭:০৮
ঈদের আগে গার্মেন্টসে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা !
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতি বছরই ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এবার ঈদের বেশ কিছুদিন আগেই বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।


সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের আগে রাজধানীর আশেপাশেসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা রয়েছে।


বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এ বছর আগেভাগেই তা আমলে নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই তৈরি পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকা ঢাকার আশুলিয়া, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামে বাড়ানো হয়েছে নজরদারী।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার জানান, ‘এবার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। এখনই অনেক গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে বোনাসের জন্য শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। এবার শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো নির্ধারণের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে ওই কমিটি বৈঠকই করতে পারছে না। কেননা, বৈঠকের তারিখ ঠিক হলেও বিজিএমইএ সভাপতি বিদেশে চলে যান। মালিকপক্ষের অসহযোগিতার কারণে বৈঠক হচ্ছে না। এবার ঈদে বেতন-বোনাসের সঙ্গে এই ইস্যুটা যুক্ত হতে পারে। ফলে শ্রমিক আন্দোলনের আশংকা আছে।''


তবে বিজিএমইএ সভাপতি এরকম কোনো আশঙ্কা আমলে নিতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘‘এবার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন - মাসের মাঝামাঝিতে ঈদ পড়েছে, ফলে একটা সংকট তো হতেই পারে। কারণ, বেতন দিতে হবে, বোনাস দিতে হবে। সবগুলো একসঙ্গে দিতে গেলে মালিকরা তো একটু চাপে পড়বেন। তবে আমরা আলোচনা করে সব সমস্যার সামাধান করে ফেলবো। আর শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সমস্যা সমাধান করতে পারে, শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই।''


এদিকে ঈদের আগে শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বেতন-ভাতা পা, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এজন্য অন্যান্য বছরের মতো এবারও কেন্দ্রীয়ভাবে ক্রাইসিস কন্ট্রোল রুম কাজ করছে। এর বাইরে আঞ্চলিক ক্রাইসিস কমিটি রয়েছে।


‘কোনো বিশৃঙ্খলার সুযোগ আমরা দেবো না’


গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টার দিকে নজর রাখছি। মালিকদের ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো মালিক নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদের বেতন-বোনাসকে কেন্দ্র করে কো্নো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটার সুযোগ আমরা দেব না। শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে৷ মালিকদের বলেছি, রেশনিং করে শ্রমিকদের ছুটির ব্যবস্থা করতে।''


বিজিএমইএর একটি সূত্র জানায়, কারখান-মালিকদেরকে আগামী জুন মাসে একসঙ্গে প্রায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। জুন মাসেই পরিশোধ করতে হবে মে মাসের বেতন। এর পর দিতে হবে ঈদের বোনাস। একই সঙ্গে জুন মাসের পুরোটা না হলেও আংশিক বেতন দিতে হতে পারে। এর ফলে মালিকদের ওপর এক ধরনের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com