শিরোনাম
‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তারেক পাসপোর্ট পাবেন না’
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৩২
‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তারেক পাসপোর্ট পাবেন না’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কাছে এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশী পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন।


ডিজি বলেন, তারেক রহমান যদি পাসপোর্টের আবেদন করতে চান, তবে তাকে দেশে ফিরতে হবে।


রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরের কনফারেন্স হলে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিজি মাসুদ রেজোয়ান এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিষয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।


পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, তারেক রহমানের এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। তার কাছে যে পাসপোর্ট ছিল সেটা ২০১৪ সালে তিনি জমা দিয়েছেন। এরপর নতুন করে পাসপোর্টের জন্য আর কোনো আবেদন তিনি করেননি। পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তবে কীভাবে সেখানে অবস্থান করছেন সেটা যুক্তরাজ্যের সরকার জানেন।


ডিজি আরো বলেন, দুই ধরনের ব্যক্তিকে পাসপোর্ট দেয়া হয় না। এক হলো আবেদন করার বছরের পাঁচ বছর আগে যদি তিনি দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন। আর গ্রেফতার এড়াতে পলাতক অবস্থায় কেউ যদি থাকেন, তবে তার আবেদনও গৃহীত হয় না। তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাই আমরাও তাকে পাসপোর্ট দেবো না।


তিনি বলেন, অচিরেই তারেক রহমানের নতুন করে পাসপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) না থাকায় এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তিনি পাসপোর্ট পাবেন না।


তারেক রহমানের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর গত সোমবার লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারকে আইনি নোটিশ পাঠান।


পাসপোর্ট অধিদফতরের ডিজি বলেন, তারেক রহমান ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তখন তার পাসপোর্ট ছিল হাতে লেখা, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ছিল না। ২০১০ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালে তিনি ওই পাসপোর্ট সারেন্ডার করেন। এখন নতুন পাসপোর্ট নিতে হলে তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড তার নেই। এটা নিতে হলে অবশ্যই তাকে দেশে আসতে হবে। আর তাকে দেশে আসতে হলে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির মাধ্যমে ট্র্যাভেল পাস নিতে হবে।


সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, তারেক রহমান এখনো বাংলাদেশের নাগরিক কি না। উত্তরে মহাপরিচালক বলেন, নাগরিকত্বের সাথে পাসপোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে সবার কি পাসপোর্ট আছে? না থাকলে তারা কি নাগরিকত্ব হারিয়েছে? তা তো না। নাগরিকত্ব আলাদা জিনিস। কেউ যদি নিজে থেকে বলে যে আমি নাগরিকত্ব সারেন্ডার করব, সেটা আলাদা কথা। বাট পাসপোর্টের সাথে এটা না।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেফতর হওয়ার পর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে লন্ডনে যাওয়ার পর স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান। দুই বছর আগে মুদ্রাপাচার মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট।


এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তারেকের। ওই মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে এখন কারাবন্দি তারেকের মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার অনুপস্থিতিতে পদাধিকার বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে লন্ডন থেকে দল পরিচালনায় নির্দেশনা দিচ্ছেন তারেক রহমান।


বিবার্তা/শাহনাজ/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com