রাজধানীতে লোকজন অর্থের বিনিমেয়ে সেবাখাতের সুবিধা নেন। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস এসব সেবাখাতে বিল পরিশোধের মাধ্যমেই প্রাপ্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন নগরবাসী। তবে আজকাল এসব সেবা নিতে গিয়ে গ্রাহকরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। গোয়াল তৈরির আগে গরু কিনলে যা হয়। দেশের সেবাখাতের অবস্থা হয়েছে তেমনই। কম্পিউটারের ভুলভ্রান্তিতে গ্রাহকদের ওপর নেমে আসছে দুর্ভোগ। সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসা বিভিন্ন বাসা বাড়ির পানি ও পয়: নিষ্কাশনের বকেয়া বিল চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। তাও আবার যেমন তেমন নোটিশ নয়।
৪/৫ বছর আগের পুরাতন পাওনা চেয়ে নোটিশ। আদতে একে নোটিশ বলা ভুল হবে। আসলে এসব নোটিশ হচ্ছে ভুয়া। প্রশ্ন হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাওনা চেয়ে নোটিশ দিলে সেটি আবার ভুয়া হয় কীভাবে? এমন প্রশ্ন যে কারো হবে। এসব পাওনা চাওয়া নোটিশ আসলেই ভুয়া। আর সেটা প্রমাণ করে দিলেন ওয়াসার সেবা নেয়া এক গ্রাহক। তিনি পুরান ঢাকার বাসিন্দা। ওয়াসার উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয় রাজস্ব জোন-১ থেকে তাকে বকেয়া বিলের নোটিশ দেয়া হয়েছে। ওই গ্রাহকের নাকি ২০১২ সালে ১টি ও ২০১৪ সালের ১ পাওনা বাকী আছে। তাকে অতিসত্বর পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে। আর তাতে আপত্তি থাকলে একুশ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। এপ্রিলের ১ তারিখে লেখা চিঠি ওই গ্রাহকের হাতে আসে ১৭ এপ্রিল। মানে গ্রাহকের আপত্তির জানানোর অর্ধেকের বেশি সময় পার করেই ওয়াসার ওই চিঠি গ্রাহকের হাতে আসে। এদিকে ওয়াসার রাজস্ব বিভাগ যে দুটি বিলের কথা উল্লেখ করেছে তা ওই গ্রাহক সেই সময়েই পরিশোধ করে দিয়েছিলেন। তারপরও ওয়াসা কেন তার কাছে বকেয়া চাইছে তা গ্রাহকের মাথায় আসছে না। পুরান সেই বিলের কাস্টমার কপি দেখিয়ে তিনি বলেন, বিল দিয়েও শান্তি নেই। ওয়াসা অফিসে গিয়ে আমাকে প্রমাণ করতে হবে আমার কোনো পাওনা বাকী নেই। তার ওপর আপত্তি জানানোর যথাযথ সময় না দিয়েই আমাকে এই ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হয়েছে।
যেখান থেকে এই বিল পাঠানো হয়েছে। সেখানে ফোন করলে আতিয়া পারভীন নামের এক নারী ফোন ধরেন। তার কাছে জানতে চাই,ওয়াসা কেন এত পুরান বিলের নাম করে টাকা চাইছে। তিনি বলেন, কম্পিউটারের সফটওয়ারের বিভ্রাটের কাহিনী। ব্যাংক থেকে আপডেট না আসায় এমনটা হয়েছে। এর উত্তরে তার কাছে বললাম ব্যাংকের সমস্যা গ্রাহকদের ঘাড়ে কেন চাপাচ্ছেন? ব্যাংককে নোটিশ দিন। এতে তিনি রেগে যান। তিনি উল্টো জানতে চান আমি গ্রাহক কিনা। গ্রাহক ছাড়া কারো সঙ্গে তিনি কথা বলবেন না বলে জানান। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসতে বলে ফোন রেখে দেন।
বিবার্তা/সুমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]