শিরোনাম
কমনওয়েলথের সংস্কার চাইলেন শেখ হাসিনা
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৮, ০০:৪৮
কমনওয়েলথের সংস্কার চাইলেন শেখ হাসিনা
কমনওয়েলথের সরকার প্রধানদের সভায় যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণের জন্য কমনওয়েলথের সংস্কারের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংস্থাটির সরকার প্রধানদের সভায় তিনি বলেছেন, কমনওয়েলথের বিভিন্ন সংস্থার ভূমিকা ও কার্যক্রমের পুনর্গঠন প্রয়োজন, যাতে সদস্য দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণ হয়।


বৃহস্পতিবার লন্ডনের ল্যানকেস্টার হাউজে ২৫তম কমনওয়েলথ হেডস অব গভর্নমেন্ট সভায় (সিএইচওজিএম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চারটি স্তম্ভের নিরিখে এই সিএইচওজিএম-এ চিহ্নিত লক্ষ্য অর্জন করতে চাইলেও সংস্কার অপরিহার্য। আমরা কমনওয়েলথের ব্যাপক সংস্কারের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তি গ্রুপ (ইপিজি) গঠনের সুপারিশ করছি।


ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে কমনওয়েলথ সচিবালয় পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এই সিএইচওজিএম সভায় নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনেই এর প্রয়োজন রয়েছে।


বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সচিবালয়ের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদক্ষেপটিকে কমনওয়েলথের বৃহত্তর ও ব্যাপক সংস্কারের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যাতে এটি আরো মানুষ এবং উন্নয়ন কেন্দ্রিক হতে পারে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ ঘোষণার কানেকটিভিটি, সাইবার সিকিউরিটি, গভর্ননেন্স এবং ব্লু চার্টার সম্পর্কিত বিষয় বাস্তবায়নের জন্য কমনওয়েলথ সচিবালয়ের উচিত একটি অ্যাকশন প্লান তৈরি করা। আগামী দুই বছরের মধ্যে কমনওয়েলথ তাদের কাজের ফলশ্রুতিকেন্দ্রিক প্রয়াসগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করবে, যার মধ্যে থাকবে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়ন এবং অধিকাংশ সদস্য দেশের বাস্তব চ্যালেঞ্জসমূহ।



নাজুক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন (সিএমএজি) গ্রুপের ভূমিকা স্পর্শকাতর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর পর্যবেক্ষণ থেকে বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝে সে অনুযায়ী এবং কমনওয়েলথ ঐক্যের চেতনাকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।


শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন, আইনের শাসনই লক্ষ্য থাকতে হবে। কেন না, এগুলো হলো টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে সহায়তা ও সম্পৃক্ত হওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।


তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ২৫তম সিএইচওজিএম কমনওয়েলথকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দারিদ্র্যমুক্ত, প্রগতিশীল, সমৃদ্ধ, স্পন্দনশীল এবং স্বপ্নদর্শী কমনওয়েলথ হিসেবে অনুধাবনে এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে।


সম্মেলনের ফাঁকে হাসিনা-মোদি বৈঠক


কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।



বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, দুই প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের ল্যাংকাস্টার হাউজে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে মিলিত হন। রোহিঙ্গা ও তিস্তা ইস্যুসহ সব বিষয় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।


শহীদুল হক জানান, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনাকালে ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, যা আমাদের চিন্তার কাছাকাছি। ভারত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তা করছে।


পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতের পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের বিশ্ব ভারতী ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশ হাউস’ উদ্বোধনের বিষয়টিও দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় স্থান পায়।



বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।


সূত্র: বাসস


বিবার্তা/হাসান/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com