শিরোনাম
নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০১৮, ২২:৫৩
নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার দেয়া বাণীতে অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে দেশবাসীকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।


নিজ বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশ-বিদেশে বসবাসরত সব বাঙালিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যকে আরো সুসংহত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন তিনি।


ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হয়ে নতুন বছরে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে আশা করে তিনি বলেন, অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যকে আরো সুসংহত করবে। সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক। বাংলা নববর্ষ সকলের জন্য আনন্দের বারতা বয়ে আনুক এ প্রত্যাশা করি।


রাষ্ট্রপতি বলেন, আবহমানকাল থেকে বাংলা নববর্ষ বাঙালি ঐতিহ্যে লালিত সর্বজনীন উৎসব। দিনটি সবাইকে প্রবলভাবে আপ্লুত করে এবং পুরাতনকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা যোগায়। দেশজুড়ে চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখি মেলা উদ্যাপন দেশীয় সংস্কৃতির প্রসারেও অনবদ্য ভূমিকা রাখে।


প্রবাসী বাঙালিরাও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নববর্ষ পালন করেন, যা এই উৎসবের আন্তর্জাতিকতাকে তুলে ধরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যাবসা, পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন তাই চিরন্তন ও সর্বজনীন।


রাষ্ট্রপতি বলেন ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, আজ তা সালগণনার সীমা ছাড়িয়ে সর্বজনীন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা মানবসভ্যতার প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে যা আজ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।


তিনি বলেন, এ স্বীকৃতি আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি জাতি হিসেবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক অবস্থানকে আরো সমুন্নত করবে।


প্রবাসী বাঙালিরাও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নববর্ষ পালন করেন, যা এই উৎসবের আন্তর্জাতিকতাকে তুলে ধরে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যাবসা, পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন তাই চিরন্তন ও সর্বজনীন।


অন্যদিকে, বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা অতীতের ব্যত্যয় এবং গ্লানি ভুলে জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আশায় বুক বাঁধি। দেনাপাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান। পহেলা বৈশাখ তাই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মননে মানসে শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বৈষয়িক বিষয়েরও আধার।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা প্রগতি এবং অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। বাংলাদেশ এখন আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বের ‘রোলমডেল’। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।


এ স্বীকৃতি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিগত বছরটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রভূত সাফল্যময়।


পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পণ্যের ক্রয়বিক্রয়, হালখাতা উৎসব, নতুন পোশাক এবং মিষ্টান্নসহ হরেক রকমের খাবারের জমজমাট ব্যবসা, সব মিলিয়ে বাংলা নববর্ষ বিনোদনের পাশাপাশি আজ দেশের অর্থনীতিতে নতুনত্ব এনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালির এই শাশ্বত সার্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বাংলা নববর্ষ উৎসব ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালির জাতীয়তাবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বাঙালি জাতি বর্ষবরণ উৎসবকে ধারণ করেছে তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে।


শেখ হাসিনা বলেন, বাংলা নববর্ষের উন্মেষ মূলত গ্রামীণ জীবন ঘিরে। হালখাতা উৎসব এবং গ্রামীণ মেলা ছিল একসময় এর মূল আকর্ষণ। হালখাতা উৎসব কালক্রমে প্রবেশ করেছে নগর জীবনে। দেশের প্রতিটি শহরেই পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। রাজধানী ঢাকার ষাটের দশকের সংযোজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, আজ জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।


মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নতসমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং সুখীসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।


বিবার্তা/হাসান/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com