আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। নানা আয়োজনে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, 'নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে'।
সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে দিবসটি নানাভাবে পালন করা হচ্ছে। রাজধানীসহ প্রায় সব জেলা ও উপজেলাতে শোভাযাত্রা করা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা।
বিশ্বের দশটি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে যক্ষ্মা অন্যতম। আর বিশ্বের এক চতুর্থাংশ মানুষের দেহে এই রোগ সুপ্ত অবস্থায় আছে, যা সাধারণত সংক্রমণ ঘটায় না। তবে, এদের মধ্যে পাঁচ থেকে ১৫ ভাগ মানুষের জীবনে যক্ষ্মার সংক্রমণ হতে পারে। তবে নিয়মিত চিকিৎসা মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে বছরে ৬৬ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়। এই হিসাব অনুযায়ী দিনে ১৮০ জনের মৃত্যু হচ্ছে যক্ষ্মায়!
২০১৬ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মায় ৬৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্মার জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। আর ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় (এমডিআর টিবি) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩০০। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মার প্রকোপ এবং ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি এমন দেশের তালিকা তৈরি করেছে। দুটি তালিকাতেই বাংলাদেশের নাম আছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সূত্রে জানা যায়, দেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৩৩ শতাংশ রোগী এখনো চিকিৎসার বাইরে আছেন। যক্ষ্মা শনাক্তকরণ আধুনিক যন্ত্রের স্বল্পতাও আছে। দেশে রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় সাফল্য ৯৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে যক্ষ্মা নির্ণয়, সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ বিনা মূল্যে দেয়া হয়। ব্র্যাকসহ ২৬টি এনজিও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা করছে।
বিবার্তা/হাসান/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]