একটি দুটি করে মোট ২৩ জনের মরদের বুঝে পেয়েছেন স্বজন। যারা মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় জীবন হারান। সাতদিন আগে সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে ইউএস বাংলার একটি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লে, মুর্হুতেই তাতে আগুন ধরে যায়। সেই দুর্ঘটনায় মৃতদের মরদেহগুলোই বিকেলে অশ্রুসিক্ত চোখে গ্রহণ করেন নিহতদের স্বজনরা। এসময় আর্মি স্টেডিয়ামে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কাঠের কফিন ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নিহতদের আত্বীয়-স্বজন।
এর আগে সোমবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহমুদুল হাসান। নিহতদের স্বজনদের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা জানাজায় শরিক হন।
জানাজা শেষে মরদেহ বুঝে নিতে প্রথমেই বৈশাখী টিভির সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের স্বজনদের আহ্বান জানানো হয়। এরপর একে একে অন্যদের মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মরদেহগুলো নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টারমাকে অবতরণ করে বিমানটি।
এর আগে বেলা সোয়া ২টার সময় (নেপালের স্থানীয় সময় ২টা) নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে লাশবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি। এর কিছুক্ষণ আগে নিহতদের স্বজনদের নিয়ে ইউএস-বাংলার আরেকটি বিমান ঢাকায় এসে পৌঁছে।
বিবার্তা/শারমিন/সোহান/কাফী
► ইউএস বাংলার বিমান ঢাকা পৌঁছেছে
► ২৩ জনের মরদেহ নেয়া হচ্ছে আর্মি স্টেডিয়ামে
► কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আর্মি স্টেডিয়াম
► আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা সম্পন্ন
► পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন
► স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ বিশ্বাস করছেন না এ্যানি
► এই সোমবারেই ফিরলেন তারা কফিনে
► বনানীতে সমাহিত হলেন পাইলট আবিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]