শিরোনাম
উন্নয়নকাজে ১০ ত্রুটি পেয়েছে দুদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৩০
উন্নয়নকাজে ১০ ত্রুটি পেয়েছে দুদক
মৌসুমী ইসলাম
প্রিন্ট অ-অ+

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি আনতে চায় সরকার। কিন্তু এতে বড় বাধা শৃংখলার অভাব। দুর্নীতিও এক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায়। উন্নয়নকাজে গতি আনতে তাই পদক্ষেপ নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


ইতিমধ্যে উন্নয়নকাজে ১০টি ত্রুটি চিহ্নিত করেছে দুদক এবং সেগুলো কাটিয়ে উঠতে কাজও শুরু করেছে এই সংস্থা। এর অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে দুদক। দুদক মনে করে, মাঠ পর্যায়ে কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেহেতু ভূমিকা রাখেন প্রকৌশলীরা, তাই তাদের ভূমিকা আরও স্পষ্ট হওয়া উচিৎ।


এ মাসের শেষে অনুষ্ঠিতব্য ওই বৈঠকে অনিয়ম, দুর্নীতি, দুর্বলতা, প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন বিষয় স্থান পাবে। বৈঠকের কার্যপত্রে উঠে এসেছে ১০ ত্রুটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় বড় প্রকল্প (মেগাপ্রকল্প) হাতে নেয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়নে নেয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি বাড়ানো দরকার। বলা হয়, প্রতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে বছরের শেষ সময়ে এসে এডিপি বাস্তবায়ন বেড়ে যায়। তখন তড়িঘড়ি করে অর্থ ছাড় করা হয়। অথচ বাস্তবতা হলো, বছরের সব সময় সমানভাবে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা গেলেই সুফল মিলবে।


দশ ত্রুটি


দুদক মনে করে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে অযাচিতভাবে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়। তাই এর পেছনের কারণ চিহ্নিত ও করণীয় নির্ধারণ হবে বৈঠকে।


এছাড়া, প্রকল্প নির্বাচন করার সময় প্রাক্কলন প্রণয়ন এবং টেকনিক্যাল ও ফিনান্সিয়াল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কারিগরি মানসম্পন্ন নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করার যৌক্তিকতা যাচাই করার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।


প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটার কার্যকারিতা ও উপযোগিতা রয়েছে কি না, তা স্থানীয় ব্যবহারকারীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।


প্রকল্প শেষ হওয়ার পর রক্ষণাবেক্ষণের নামে এবং মেরামতকাজে নিম্নমানের মাল যাতে ব্যবহৃত না হয় তা তদারকি করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।


টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনো পর্যায়ে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি যাতে না হয় সে জন্য প্রধান কার্যালয়ে একটি টেলিফোনিক অভিযোগকেন্দ্র রাখা উচিৎ বলেও মনে করে দুদক। এতে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে।


দুদক মনে করে, ক্রয়কাজ যথাযথ হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক শক্তিশালী টিম গঠন না-করাটা একটি ত্রুটি। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।


নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ রোধ করতে শিডিউল রেটের সাথে বাজারমূল্যের সামঞ্জস্য বজায় রাখার কথা বলা হয়।


প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর বা অধিক হলে সে প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখতেও পরামর্শ দিয়েছে এই সংস্থা।


দুদক মনে করে, প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রকল্পের অংশীজনের সাথে গণশুনানীর ব্যবস্থা করা দরকার। এতে সাধারণ মানুষের মতামত পাওয়া যাবে।


প্রকল্প শেষ হলে প্রকল্পের গাড়ি সরকারী পরিবহন পুলে জমা দেয়ার বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে গাড়ি জমা দেয়া হয় না। ফলে গাড়ি ও জ্বালানি ব্যবহারে অনিয়ম দেখা দেয়। এ বিষয়ে নীতিমালা অনুসরণে বাধ্যবাধকতা আরোপ না করা বড় দুর্বলতা।


বিল চুড়ান্ত করার আগে সোশ্যাল অডিটের ব্যবস্থা করার বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে দুদক।


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com