বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কিডনি ফাউন্ডেশন ও সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন যৌথ উদ্যোগে দেশে মরনোত্তর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এতে প্রযুক্তিগত ও সার্বিক সহযোগিতা করবে কোরিয়ার দ্য ট্রান্সপ্লান্ট সোসাইটি, কোরিয়ান সোসাইটি অব ট্রান্সপ্লান্টেশন, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার, রফেল ইন্টারন্যাশনাল, ভিটালিঙ্ক কোরিয়া প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।
এ উপলক্ষে গত রবিবার মিরপুরে কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটের কনভেনশন হলে এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, উন্নত বিশ্বে ৮০-৮৫ ভাগ কিডনি সংযোজন হয় মরণোত্তর কিডনি দান বা ক্যাডাভারিক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন প্রক্রিয়ায়। এতে সফলতার হার ৮৫-৯০ ভাগ। এ প্রক্রিয়ায় একজন মৃতপ্রায় ব্যক্তির কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও হার্ট পাঁচ জনের দেহে প্রতিস্থাপন করে ভিন্ন ভিন্ন ৫ জন রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। বাংলাদেশের আইনে এ নিয়ে কোন বাধা না থাকলেও গত ১৮ বছরে তা চালু হয়নি। অথচ এ চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকর করা গেলে দূর হবে অঙ্গদাতা পাওয়ার সমস্যা এবং এতে দেশের হাজার হাজার অঙ্গবিকল রোগী নতুন জীবন ফিরে পাবেন।
কিডনি ফাউন্ডেশন ও সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশ্ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিয়ং দো। বক্তব্য রাখেন সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]