মিয়ানমারের সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি সাময়িক বন্ধ রাখার পর সোমবার থেকে আবার চালু হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী আহমেদ জানিয়েছেন, ১৮ ডিসেম্বর সোমবার থেকে স্বাভাবিকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। গত সোমবার (১১ই ডিসেম্বর) থেকে এক সপ্তাহের জন্য এ কর্মসূচি বন্ধ রেখেছিল সরকার।
আহমেদ বলেন, আসলে আমরা সাময়িকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলাম যাতে ত্রাণের অপচয় না হয়। আর এটা শুধু এনজিওদের জন্য ছিল। আন্তর্জাতিক এনজিও, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি যথারীতি কাজ করবে। স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায় থেকে যে সাহায্য আসছিল তারাও কাজ করবে। রবিবার থেকে সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাবে। সোমবার থেকে আমরা আবার ত্রাণ কার্যক্রম চালাবো, অসুবিধা নাই।
খাদ্যসামগ্রীর কোনো অভাব হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, খাদ্য সামগ্রীর অভাব নেই। প্রচুর খাদ্য সামগ্রী আসছে। বিভিন্ন এনজিওর কাছে প্রচুর খাদ্য আছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ত্রাণের খাবার নিয়ে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে-এমন কোন অভিযোগ ওঠার মাঝেই আসে সরকারি সিদ্ধান্তের ঘোষণা। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এমন অভিযোগের তেমন কোন প্রমাণ তাদের হাতে নেই। খাবার যাতে অপচয় না হয় এবং খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা যাতে আরো কার্যকর করা যায়, সেটা নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
আলী আহমেদ জানান, মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য শীতকালীন প্রস্তুতিও যথেষ্ট নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ১ লাখ ৬০ হাজারের মত পরিবার থাকতে পারে। এক-দেড় লাখ কম্বল বিতরণ হয়ে গেছে। এছাড়া শীতকালীন অসুখ-বিসুখের বিষয়ও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে ডিপথেরিয়া দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ডিপথেরিয়া কি-না সেটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয় হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]