শিরোনাম
মজলুম জননেতার ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৪১
মজলুম জননেতার ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রিন্ট অ-অ+

আজ ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ইন্তেকাল করেন তিনি। মওলানা ভাসানী তার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিরলসভাবে করে গেছেন।


রাজধানী ঢাকাসহ টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসুচীর মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা ঞ্জাপন এবং আলোচনা সভা।


টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। তার অসংখ্য মুরিদান ও ভক্তদের কন্ঠে যুগ যুগ জিও তুমি মওলানা ভাসানী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মজলুম জননেতার সমাধিস্থল টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাজার প্রাঙ্গণ।


শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।


এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও হল, মওলানা ভাসানীর পরিবার, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দেশী বিদেশী অসংখ্য ভক্ত মুরিদান ও সর্বস্তরের জনতা মরহুমের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।


ভাসানী স্মৃতি সংসদের আয়োজনে সকাল ১০টায় নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনের তিন তলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা। এছাড়া ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজনে প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মওলানা ভাসানীর। তিনি জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। গত শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশ দশকে আসামে বঙ্গাল খেদা অভিযানের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা স্মরণীয়। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল— ফারাক্কা লং মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।


সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে টাঙ্গাইলের স্থানীয় প্রশাসন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।


বিবার্তা/ইমদাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com