শিরোনাম
‘রোহিঙ্গাদের বাংলায় পড়ানো বেআইনি’
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৫৭
‘রোহিঙ্গাদের বাংলায় পড়ানো বেআইনি’
উখিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছে, ‘উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ক্যাম্পে বেশ কিছু এনজিও সংস্থা শিক্ষার্থীদের বাংলা পড়াচ্ছে, যা বেআইনি। কোন অবস্থাতেই মিয়ানমারের শিক্ষার্থীদের বাংলা পড়ানোর সুযোগ নেই।’ এছাড়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের কোন পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না বলেও জানান তিনি।


মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে যেসব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ শিক্ষার্থী। তারা নিয়মিত লেখাপড়া করতো, আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে বুনে যেত জীবনের গল্প।


রবিবার সকালে ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান কুতুপালং ক্যাম্প ও তৎসলগ্ন বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ঘুরে আরো বলেন এদেশে আশ্রয় নেয়া অন্য দেশের নাগরিকদের বাংলায় শিক্ষা দেয়া অন্যায়। অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইলেও এর কোন সুযোগ নেই।


রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা কাজ করছেন তাদের প্রত্যেকেরই মনে রাখা উচিত কেবল মানবিকতার জন্যই তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাধ্য।


এদিকে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য কুতুপালংয়ে অনিবন্ধিত ক্যাম্পে কক্সবাজার ভিত্তিক এনজিও ‘মুক্তি’ ৭৬টি স্কুল খুলেছে। এসব স্কুলে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিশুদের বার্মিজ বর্ণমালাও শেখানো হচ্ছে।


এ প্রসঙ্গে ‘মুক্তি’র কর্মসূচি সংগঠক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের স্কুলগুলোয় বার্মিজ, ইংরেজি ও বাংলা শিক্ষা দেয়া হয়। মোট ১০৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষকের মধ্যে বার্মিজ বর্ণমালা জানা শিক্ষক আছেন ৯ জন।’


তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এপ্রিল থেকে স্কুলগুলো চালু করেছি। এসব স্কুলে তিন শিফটের প্রতিটিতে প্রায় ৩৫ জন করে ছাত্রছাত্রী আছে। এর আগে মহাপরিচালক উখিয়া ডিগ্রী কলেজে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সেনা বাহিনীর সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় তিনি কলেজের পড়ালেখা ব্যাহতের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।


কলেজের অধ্যক্ষ এম ফজলুল করিম বলেন, কলেজ ক্যাম্পাস ঘিরে রোহিঙ্গাদের ত্রাণের গুদাম, সেনা ব্যারাক স্থাপন করায় ছেলে/মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে আগামী পাবলিক পরীক্ষাসহ যেকোন পরীক্ষার ক্ষেত্রে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের কারণে উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির অর্ধশতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পড়ালেখার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবক, শিক্ষক ও সচেতন মহল।


বিবার্তা/শফিক/আমিরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com