শিরোনাম
এএসপি মিজানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়: মনিরুল
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৪:৫২
এএসপি মিজানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়: মনিরুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা এএসপি মিজানুর রহমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ (সিটিটিসি) কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

 

রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে গাজীপুর জেলার টঙ্গি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এএসপি মো. মিজানুর রহমান হত্যার সাথে জড়িত মো. শাহ আলম ওরফে আলম ওরফে বুড্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। আমাদের আগের প্রাপ্ত তথ্য ও শাহআলমকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য মিলে গেছে।’

 

মনিরুল বলেন, ঈদের আগে রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকায় ভোরে এএসপি মিজান তার কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় শাহআলম এবং তার সহযোগী মিন্টু, কামাল ও ফারুক একটি প্রাইভেটকারে ৩নং সেক্টরে মসজিদের পাশে ছিল। মিজানুর রহমান তাদের গাড়ি কাছে আসলে তারা তাকে যাত্রী হিসেবে ডেকে তাদের গাড়িতে উঠায়।

 

তাকে গাড়িতে ওঠানোর পরই খুব জোরে গান বাজিয়ে, লাইট বন্ধ করে দেয় চালক জাকির। পরে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউস বিল্ডিং, পরে উত্তরা ১০নং সেক্টরের দিকে যায়। তখন গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে।

 

সিটিটিসি কমিশনার বলেন, শাহআলম ও তার সহযোগী মিন্টু, কামাল এবং ফারুকের মধ্যে একজন এএসপি মিজানের গলায় প্রাইভেটকারে থাকা জুট কাপড়ের টুকরা দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পর কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে টহল পুলিশের ভয়ে মেইন রোড ব্যবহার না করে ১০নং সেক্টর হতে গলি পথ ধরে বেড়ি বাঁধ এলাকায় পৌঁছে তারা। বিরুলিয়া ব্রিজের আগেই রাস্তার বাম পাশে ঘন গাছপালা দেখে জাকির গাড়ি থামায়। তখন মিন্টু, কামাল ও ফারুক দ্রুত এএসপি মিজানের লাশ রাস্তার বাম পাশে রেখে গাড়িতে উঠে চলে যায়।

 

তিনি আরো বলেন, এরা সাধারণত একজন যাত্রীকে টার্গেট করে গাড়িতে উঠিয়ে কোনো কিছু দিয়ে হত্যা করে। এক্ষেত্রেও তেমনটিই হয়েছে। সাধারণত, পুলিশ ও সাংবাদিক পেলে তাদের ছেড়ে দিলে বিপদ হতে পারে ভেবে হত্যা করে। মিজানকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে তারা হত্যা করা হয়। শাহআলমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই গাড়িতে ছিনতাইকারী চারজন ছিল। বাকি তিনজনকে গ্রেফতার ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

 

উল্লেখ্য, গত ২১ জুন রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তার পাশ থেকে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) লাশ উদ্ধার করে রূপনগর থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় এএসপি মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

 

বিবার্তা/খলিল/নিশি

 

>> এএসপি মিজান হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com