শিরোনাম
কায়ান্টের প্রভাবে বৃষ্টির উৎপাত
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১০:২৩
কায়ান্টের প্রভাবে বৃষ্টির উৎপাত
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষত ফুটপাতবাসী দুর্দশার সীমা নেই। তারপরও সময় বাড়ার সাথে সাথে নাগরিক ব্যস্ততা বাড়ছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ‌্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’য়ের প্রভাবেই বৃষ্টি ঝরছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।


আবহাওয়াবিদদের মতে, শুরু থেকেই বিচিত্র আচরণ করতে থাকা এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ পশ্চিমে সরে গিয়ে শুক্র বা শনিবার নাগাদ ভারতেক অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের কাছকাছি পৌঁছাতে পারে।


তবে উপকূলে আঘাত হানার আগেই ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও এর প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও উড়িষ‌্যা রাজ‌্যের উপকূলে এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপট চলতে পারে আগামী দুদিন।


ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান এম মহাপাত্রের বরাত দিয়ে দি হিন্দু লিখেছে, ‘এই ঘূর্ণিঝড়টির উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।’



২৯ অক্টোবর নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।


বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সানাউল হক খান আগেই বলেছিলেন, কায়ান্টের বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসার সম্ভাবনা কম। এর সম্ভাব‌্য গতিপথ ভারতের দিকে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।


ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।


ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শও রয়েছে।


নগরবাসী বলছেন, এই বৃষ্টি শীতের আমেজ দিয়ে যাবে।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com