ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ফুটপাত থেকে অখ্যাত লেখকদের বই কিনে তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়।
সচিবালয়ে বুধবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতিসভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বিপুলসংখ্যক ফেলের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ‘ঢাবিএকটি সিটের বিপরীতে ৪০ জন আবেদন করেছে। ওখানে পাস-ফেলের ব্যাপার নাই। এক ঘণ্টায় তারা একটা বাছাই করছেন, কী করে ৩৯ জনকে বাদ দেয়া যায়। ৩৯ জনকে বাদ দেয়ার জন্যই এ ব্যবস্থাগুলো নেয়া হয়।’
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় শিক্ষার মান নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আধুনিক যুগে এসে ছেলেমেয়েরা আপনাআপনি অনেক জ্ঞান অর্জন করে ফেলছে। তাই আমাদের ছেলেমেয়েদের গুণগত মান বাড়ছে না যারা বলেন, তারা মোটেই সঠিক কথা বলেন না।’
তিনি বলেন, শিক্ষার মান বাড়ছে। তবে যতটা বাড়া উচিত, যা করা উচিত, তার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি।’
ঢাবি কর্তৃপক্ষের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের আগের বছর তারা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) বলেছিলেন, ইংরেজিতে শুধু ৩ জন ভর্তি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তো সব আসনই পূর্ণ করেছেন। আমাদের এসএসসি ও এইচএসসিতে যে হারে জিপিএ-৫ পায়, তার চেয়ে বেশি ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে যাচ্ছে ওই সব ছেলেমেয়েরা, তারা যাদের বলছেন ফেল।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ কোনো এক শিক্ষকের উদ্ধৃত দিয়ে বলেন, ‘একজন শিক্ষক বলেছেন, নীলক্ষেতের ফুটপাতে অনেক বই বিক্রি হয়- গান, জারি, নাচ, ছড়া, কবিতা নানান ধরণের বই। তারা নিজেরাও দেখেন না এসব বই, ওইসব জায়গা থেকে তারা কয়েকটি তুলে নিয়ে আসেন। এনে প্রশ্নের মধ্যে তুলে দেন ওই বইয়ের লেখক কে? তারাও জানেন না। কেন দেন? তাদের তো উদ্দেশ্য পাস-ফেল না। উদ্দেশ্য হল ৩৯ জনকে বাদ দেয়া এবং একজনকে রাখা। সেই হিসেবে এটা পাস-ফেলের প্রশ্ন নয়, এতে বিভ্রান্তি হচ্ছে।’
মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করাদের পরে ভর্তি করে এক বছর পরই তারা কি করে ফার্স্ট ক্লাস মার্ক পাচ্ছে? এটা কি করে সম্ভব। এতে ভুল ম্যাসেজ চলে যায় সবার কাছে। আন্তর্জাতিকভাবেও আমরা হেয় হচ্ছি।
নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি বাছাই পরীক্ষা। আমি ৯৯ পেলাম, নেবে একজন, দেখা গেল আরেক জন ১০০ পেয়ে গেল। তবে কি আমি ফেল? আমি তো ফেল না।
শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, ‘আমরা এটা নিশ্চিতই বলতে পারি, সার্বিক ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।’
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]