
সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে টানা ৫২ ঘণ্টা পর নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিকরা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান শ্রমিকরা। এর আগে গত সোমবার সকাল নয়টার দিকে পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, আমরা টানা ৫২ ঘণ্টা ধরে সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছি আমাদের পাওনা পরিশোধের জন্য। কিন্তু কোনো পক্ষই আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয় বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) লে-অফ করা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দিন ধার্য করা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো ধরনের পাওনাদি পরিশোধ না করে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি তিন মাস সময় চেয়ে কারখানার গেটে একটি নোটিশও দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। পাওনাদি পাওয়ার আশায় সকালে কারখানায় গেলে নোটিশে আরও তিন মাস সময় চাওয়ার বিষয়টি দেখতে পান শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত হয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বুড়িরবাজার রোড এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের টানা ৫২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো ধরনের আশ্বাস না পাওয়ায় প্রত্যাহার করেনি শ্রমিকরা। অবরোধের টানা ৫২ ঘণ্টা পর মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সড়ক ছেড়ে দেন তারা।
নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক তিন দিন ধরে অবরোধ করে রাখে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় মহাসড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ থাকে, যাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে। এছাড়াও ঢাকা আরিচা মহাসড়কের নবীনগর,ও বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এছাড়াও আজও আশুলিয়ায় বেশ কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। অন্য সব পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। উৎপাদন চলছে পুরো দমে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা গুলোর সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
এব্যাপারে শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহীনুর কবির বলেন, পুলিশ বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর চেষ্টায় সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়। তবে এখনো সড়কটিতে যানবাহনের চাপ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আশুলিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ১টার দিকে মালিকপক্ষ সব বকেয়া দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপরেই শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান। বর্তমানে সড়কে গাড়ির কিছুটা ধীর গতি রয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই স্বাভাবিক চিত্রে ফিরে আসবে আশুলিয়া মহাসড়ক।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ১ টার দিকে সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। সড়কে যানচলাচল শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিবার্তা/বাশার/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]