মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতিরা পাবে?
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৮:১৭
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতিরা পাবে?
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিরা কোটা সুবিধা পেতে পারবেন না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।


১৪ জুলাই, রবিবার চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবনে সিনিয়র সাংবাদিকদের চীন সফর নিয়ে ব্রিফ করেন তিনি।


মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কিভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।


তারা আন্দোলন করছে। আদালতে গেছেন। আবার আমার সিদ্ধান্তের কথাও বলছেন। আমি এ বিষয়ে বলব- বিষয়টি যেহেতু আদালতে গেছে। আদালতের নির্দেশনা তো আমাদের মানতেই হবে। তারা না মানতে চাইলে আন্দোলন করুক। তবে আমি পরিস্কার করে বলছি, আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা বরদাশত করব না। কেউ উস্কানি দিচ্ছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে।


এসময় তিনি বলেন, আমি দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধার এক নাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে কোটাতে। সেও বলে, কোটা থাকবে না। তো ব্যাটা, তুমি তাহলে চলে আসো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তোমার ভর্তি হতে হবে না।


শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের নারীরা ডিসি বা এসপি হবেন, তারা কখনও ভাবেনি। আমরা এসে এটা নিশ্চিত করেছি। কোটা বাতিলের পর এবার ফরেন সার্ভিসে নারী রয়েছে ২ জন, পুলিশ সার্ভিসে ৪ জন। শুধু মেডিকেলের ক্ষেত্রে নারীরা কিছুটা এগিয়ে।


তিনি আরো বলেন, যারা আন্দোলন করছে, তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না। সংবিধান কী, তা তারা চেনে না। একটা সরকার কীভাবে চলে, সে সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। ভবিষ্যতে এরা তো দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের জানা উচিত, আমাদের সংবিধান কী বলে, রাষ্ট্র পরিচালিত হয় কীভাবে? সেটা তাদের জানা উচিত। এটা (কোটার বিষয়) যখন আদালতে চলে গেল, সেটা সমাধান করবে আদালত। আলাদত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক, আর্গুমেন্ট করুক।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটার সুবিধা তো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারই গ্রহণ করবে। নাকি রাজাকার পরিবার গ্রহণ করবে?


তিনি বলেন, তারা বলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা অযোগ্য বলে কোটার সুবিধা নিয়ে চাকরি পায়। আমি বলব মুক্তিযোদ্ধারা কিন্তু সব সময়ই বিজয়ী। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে কিন্তু তাদের পরাজিত করেছিল।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com