
যারা টাকা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি, তাদের টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার। একই সঙ্গে যেসব এজেন্সি কর্মীদের থেকে টাকা নিয়েও তাদের নিতে পারেনি তাদের তালিকা করা হবে বলে জানান তিনি।
৪ জুন, মঙ্গলবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলন এবং মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন তিনি।
মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, আমরা কথা দিলাম, শ্রমিকরা এজেন্সিকে কত টাকা দিয়েছেন তারও তালিকা হবে। আমরা এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের দেওয়ার জন্য বায়রার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেব।
তিনি বলেন, এবার ১০১ জন ব্যবসা করেছে, তাদের সুযোগ দিয়েছে কে? নিশ্চয় দুই দেশের মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের সরকার ও মালয়েশিয়ান সরকার একটি চুক্তি করেছে। কতজন লোক লাগবে, কীভাবে নির্ধারণ করবে সেই চুক্তি করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এই চুক্তি বায়রার সঙ্গে করেনি। আর ওই চুক্তি মোতাবেক মালয়েশিয়া সরকার ১০১ এজেন্সিকে চিহ্নিত করেছে। বায়রার সদস্যদের এখানে কিছুই করার নেই বলে মত দেন তিনি।
১৯৯৪ সালেও এমন সিন্ডিকেট হয়েছিল, সেটা তিনি ভেঙে দেয়ার দাবি করে বলেন, এরপর ২০০৮ ও ২০১৬ সালেও সিন্ডিকেট হয়েছে। আমাদের সদস্যদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। একটা স্বার্থান্বেষী মহল চায় কোটিপতি থেকে আরও কোটিপতি হতে। এখন আমরা চেষ্টা করছি যেসব মানুষ যেতে পারেনি তাদের টাকা ফেরত দিয়ে বায়রাকে দায় মুক্ত করতে।
তিনি বলেন, ২০০৮ ও ২০১৬ সালে সিন্ডিকেটের কারণে এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের কর্মীদের রিসিভ করেনি মালয়েশিয়া। এটা আমাদের সরকারও জানে। মালয়েশিয়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড সব সময় চালিয়ে থাকে।
গমন ইচ্ছুক কর্মীদের কাছ তিন থেকে চারগুণ বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বায়রা সভাপতি বলেন, এই যে ৫ লাখ, ৪ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে এটা সঠিক নয়। এ রকম কথার কথা অনেকে বলে। আমাদের এমপিরা কোনো চক্রান্ত করেননি। তাদের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এখানে সংসদ সদস্যদের কথা আসছে কেন? তাদের রিক্রুটিং লাইসেন্স আছে, ব্যবসা করবে। এখন সে সংসদ সদস্য হোক আর যাই হোক তাদের তো ব্যবসা করার অধিকার আছে। এখন এগুলো নিয়ে একটা প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে বলে দাবি করেন তিনি।
সভায় বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন বলেন, গত ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার ই-ভিসা ইস্যু করেছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ৩০ বা ৩১ মে যদি ই-ভিসা ইস্যু করা হতো তাহলে সংকট তৈরি হতো না। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি দেখলে এ সমস্যা সৃষ্টি হতো না।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]