রাজধানীর ট্রাফিক সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে এক যুগ ধরে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। যানজট সমস্যা দূর করতে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে এই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি।
২৮ মে, মঙ্গলবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। যাতে করে ঢাকাবাসীর ট্রাফিক সমস্যা কিছুটা হলেও দূর করতে পারি। সেটির অংশ হিসেবে উন্নয়ন সহযোগী জাইকা ডিএমপির সঙ্গে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এরমধ্যে রয়েছে জনসচেতনতা তৈরি, ট্রাফিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান, তার পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ এই ধরনের বেশ কিছু কাজ জাইকা ডিএমপির সঙ্গে মিলিত হয়ে করছে। গত দুই বছর ধরে এই কাজ চলমান রয়েছে। এখন যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সেটি হলো, ঢাকাবাসীর মধ্যে সামগ্রিকভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
রোড সেফটি ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য জাইকা মডেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি জাপান সরকার ১৯৬০ এর দশক থেকে এ কাজগুলো করে আসছে। আমাদের ট্রাফিকের যেসব কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের মতামতের ভিত্তিতে জানা গেছে জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমরা শিশু বয়সে আছি।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে শিশুদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গত ১-২ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। শিশুরা যেন ছোটবেলা থেকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন থাকে এবং এ বিষয়ে তাদের সচেতনতা থাকে সেই লক্ষ্যে আমরা অদূর ভবিষ্যতে শিশু ট্রাফিক পার্ক করতে যাচ্ছি। এ পার্ক ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জাইকার সহযোগিতায় আমরা ডেটা এনালাইসিস করে কোন জায়গায় যানজট বেশি হচ্ছে এবং কোন জায়গায় দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে, এসব বিষয়ে বিশ্লেষণ করে সেখানে গুরুত্বারোপ করছি। গত কিছুদিন আগে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ১৩ জন পুলিশ সদস্য জাপান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এসেছে। জাপান ১৯৬০ দশকের থেকে শিশুদের মধ্যে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার বিষয়গুলো তৈরি করেছে। আমরাও এখন শিশুদের ভিতরে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার বিষয়গুলো প্রবেশ করার জন্য কাজ করছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]