
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালির কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দিনে বাঙালিরা পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেয়। নতুন বছরের সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে। বাংলা নববর্ষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একসঙ্গে একই পথে চলতে অনুপ্রেরণা দেয়।
১৪ এপ্রিল, রবিবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া যুব সংঘ মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখের এই ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোন জাতি যদি তার ইতিহাস বা সংস্কৃতি ভুলে যায় তা হলে সেই জাতি বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। নববর্ষের উৎসব বাংলার গ্রামীণ জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন বছরটি জাতির ভাগ্যাকাশে সূর্যের মতো উদিত হউক, জাতি সামনে এগিয়ে যাক এই কামনা করেন মন্ত্রী।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ভূমিমন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রীর নেতৃত্বে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে যুব সংঘ মাঠে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় উপজেলার সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন। দুপুরে তিনি কপিলমুনি কলেজ এ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
বিবার্তা/তুরান/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]