চায়ের ইলেকট্রিক কেটলির (ওয়াটার হিটার) শর্ট সার্কিট থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, চায়ের ইলেকট্রিক কেটলির শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ওই কক্ষে থাকা কয়েকটি চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। তবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, কাগজ ও ফাইলের ক্ষতি হয়নি।

সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, শুক্রবারই আমরা তথ্য নিয়েছি। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) পিএসের কক্ষের কেটলিতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। সোমবার অফিস খুলবে। আমরা বিভাগের সবার সঙ্গে কথা বলব। এরপরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে। আশা করছি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারব।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ তলার দক্ষিণ কোণের দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান ও এস কে সুর চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় আগুনের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটিকে আগামী ২৮ মার্চ ও ফায়ার সার্ভিসের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি