তিস্তা চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি বলে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন সেই প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে একথা জানান।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমর্থনের ফলেই বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনেই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির ক্ষেত্রেও সরকার সকলকে সঙ্গে নিয়ে, সবার (প্রতিটি রাজ্য) সঙ্গে আলোচনা করেই এই চুক্তিতে সম্মত হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তিস্তা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। কেন্দ্র আমায় কিছুই জানায়নি। কেন্দ্রের তরফে আমি কোনো আমন্ত্রণ পাইনি। আমি শুনেছি, আগামী ২৫ মে বাংলাদেশে নাকি তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অথচ এ ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত করে আমি কিছুই করতে পারব না। বাংলাদেশকে যতটা সাহায্যের দরকার করব, কিন্তু সেটা রাজ্যকে বাঁচিয়ে। যেখানে রাজ্যের স্বার্থ রয়েছে সেখানে রাজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
তিস্তা নিয়ে কোনো দেশের আবেগই কম নয়। দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক বসলেই নিশ্চিতভাবেই উঠে আসে এই ইস্যুটি। আগামী ৭-১০ এপ্রিল ভারত সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই সফরেই দুই দেশের একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। শেখ হাসিনার সফরের পরই মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন বলেও জানা যায়।
বিবার্তা/ডিডি/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]