স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের নামে চার্জশিট গ্রহণ
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের নামে চার্জশিট গ্রহণ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের নামে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।


১ এপ্রিল, সোমবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।


একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬ এ বদলির আদেশ দেন।


এর আগে মামলাটি একই আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। তবে মামলার আদেশে চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে লিখিত না থাকায় তা গ্রহণের জন্য মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে নথি পাঠানো হয়।


মামলার অন্য আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান ও সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান।


আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে ও বাকিরা জামিনে আছেন।


২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এরপর ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণের আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত ৬ এ বদলির আদেশ দেন।


ওই বছরের ১২ জুন আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।


চার্জশিটে আসামিদের নামে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি তি হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন।


এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের নামে সর্বমোট তিন কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের জন্য দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।


২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচজনের নামে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com