শিরোনাম
এক লাখ ৩৫ হাজার যক্ষ্মা রোগীর হদিস নেই
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৬:০৫
এক লাখ ৩৫ হাজার যক্ষ্মা রোগীর হদিস নেই
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুসারে দেশে ১ লাখ ৩৫ হাজার যক্ষ্মা রোগীর হদিস নেই। অর্থাৎ শতকরা ৩৯ থেকে ৪০ ভাগ যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণের বাইরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বযক্ষ্মা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।


জাতীয়যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ব্র্যাকসহ আরও কয়েকটি সংগঠন যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।


বিশ্বযক্ষ্মা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে প্রতিরোধ সাফল্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যতে করণীয় তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সর্বশেষ ২০১৬ সালে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার জন। অর্থাৎ দেশে ১ লাখ ৩৫ হাজার যক্ষ্মা রোগীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ সব রোগী খুঁজে বের করে শনাক্ত করা এখন এনটিপির বড় চ্যালেঞ্জ বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে শিশু যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যক্ষ্মা শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এই সংখ্যা বেশি চিহ্নিত হয়েছে। ২০১৫ সালে শিশুযক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৯৮৪ জন, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯২৯১ জনে। শতকরা হিসেবে ২০১৬ সালে শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ৪.৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ।


সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. রুসেলি হক। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রনালয় এবং ব্র্যাক একসঙ্গে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফলভাবে পালন করে আসছে। বর্তমান চিকিৎসার মাধ্যমে ৯৪ শতাংশ যক্ষা নিরাময় সম্ভব হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বমানের যক্ষ্মার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। যক্ষ্মার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে জনগণকে সচেতন করতে হবে। তাদের এসব বিষয়ে জানাতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমই পারে যক্ষ্মা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে।


সম্মেলনে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডিআর-টিবির মুখ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিস আরেফিন সাকি।


সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. ভিকারুন্নেসা বেগম, ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস ফর হেলথের কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ওস্কার কর্ডন, বাংলাদেশের ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপমেন্টের সিনিয়র ইনফেকশাস ডিডিজ এডভাইজার ড. চার্লস লারম্যান, ব্র্যাকের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মসূচি প্রধান ডা. শায়লা ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/সোহেল/পলাশ


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com