সব গণপরিবহনে ‘এক কার্ড’ পদ্ধতি বাস্তবায়নে বৈঠক ১৩ মার্চ
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫১
সব গণপরিবহনে ‘এক কার্ড’ পদ্ধতি বাস্তবায়নে বৈঠক ১৩ মার্চ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

এক কার্ড ব্যবহার করে সব ধরনের গণপরিবহনে ভাড়া পরিশোধের সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ‘র‌্যাপিড পাস’ নামে পরিচিত এই কার্ডের মাধ্যমে রেল, সড়ক ও নৌপথে সরকারি-বেসরকারি সব কোম্পানিই ভাড়া আদায় করতে পারবে।


এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আইনের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর অথরিটি (ডিটিসিএ)।


র‍্যাপিড পাস কার্ড নামের এই পদ্ধতি ঝামেলামুক্ত হবে, সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


তারা জানান, সারা দেশেই এটি চালু করা হবে। আইন প্রণয়নে গত মাসে একটি কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। আইনের খসড়া যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটির আহ্বায়ক ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক শাবিহা পারভিনের সভাপতিত্বে আগামী ১৩ মার্চ বৈঠকে বসবে কমিটি।


বর্তমানে ঢাকাবাসী মেট্রোরেলের সেবা পেতে দুই ধরনের কার্ড-এমআরটি (ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) পাস ও র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করছেন।


২০১৮ সালে ডিটিসি এর তত্ত্বাবধানে যাত্রা শুরু করা র‍্যাপিড পাসে সব ধরনের পরিবহন সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে এটি শুধুমাত্র মেট্রোরেল ও কিছু নির্দিষ্ট বাসের ভাড়া পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।


অন্যদিকে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) শুধুমাত্র মেট্রোরেলের জন্য এমআরটি পাস চালু করেছে।


কমিটির একজন সদস্য জানান, এই পরিস্থিতিতে সরকার একটি সমন্বিত টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করার জন্য আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে স্মার্ট র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করে সব পরিবহন পরিষেবা পেতে পারে মানুষ।


সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এজন্য ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কার্ড থেকে ভাড়া সংগ্রহের জন্য প্রতিটি বাস বা লঞ্চের মালিককে নিজের খরচে নির্দিষ্ট একটি যন্ত্র বসাতে হবে। পরিবহনে র‌্যাপিড পাসের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও এ বিষয়ে আইনি কোনো কাঠামো তৈরি হয়নি।


জানা গেছে, গণপরিবহনে ‘র‌্যাপিড পাস’-এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ক্লিয়ারিং হাউস ফর ইন্টিগ্রেটিং ট্রান্সপোর্ট টিকেটিং সিস্টেম ইন ঢাকা সিটি অ্যান্ড অ্যাডজাসেন্ট ডিস্ট্রিকটস’ শীষর্ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ডিটিসিএ। সংক্ষেপে ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ হিসেবে পরিচিত এই প্রকল্পে সরকারের ঋণ সংস্থা জাইকা ৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। বাকি ৮৩ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হচ্ছে।


প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মেট্রোরেলের মতো একটি কার্ডের মাধ্যমেই রেলওয়ের সব রুট, নৌযান, বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহনের ভাড়া এবং সড়ক ও সেতুর টোল পরিশোধ করা যাবে। ভবিষ্যতে এই কার্ড ব্যবহার করে সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার পর বিল পরিশোধ সুবিধাও চালু করা হবে।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com