![](http://www.bbarta24.net/templates/bbarta/images/main-logo.png)
জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রতি মাসে প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করুন।
৫ মার্চ, মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনটি হচ্ছে। সম্মেলনে মন্ত্রী ও সচিবরা তাদের মুখোমুখি হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকে ডিসিদের একটি সভা হয়েছে। সভায় ডিসিরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলেননি। উনারা ছোট ছোট কিছু পয়েন্ট সভায় তুলেছেন। আমরা কিছু কথা বলেছি।
তিনি বলেন, করোনার সময়ের মতো ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না ডিসিরা তা জানতে চেয়েছেন। তারা বলেছেন, আদালতে জঙ্গিদের আনা-নেয়া করায় কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই ভার্চুয়াল কোর্টের কথা বলেছেন ডিসিরা। সারা দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট করা যায় কি না আমরা সেটা পরীক্ষা করে দেখব।
আপনার তরফ থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা যেন প্রতি মাসে জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির সভা করেন, এজন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তারা যেন ইয়াবা ও এলএসডির মতো মাদকের বিরুদ্ধে সামজিক সচেতনতা গড়ে তোলেন, সেজন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা এর আগে ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এখন কেউ প্রকাশ্যে ধূমপান করে না। কেউ ধূমপান করলে তা আড়ালে করে।
তিনি বলেন, আমাদের সচিবরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে জেলা পর্যায়ে যে কোর কমিটি রয়েছে তারা যেন প্রতি মাসে একটি সভা করে। যাতে সকলের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক থাকে এবং কোনো অসুবিধা হলে সেগুলো যেন দ্রুত সমাধান করতে পারেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি তারা যেন প্রতিমাসে এবং প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করেন।
কেউ যেন নদী পথে যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করে সে বিষয়েও ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন থাকবে। যখন আপনাদের প্রয়োজন হবে তখন নিরাপত্তা বাহিনী তারা আপনার পাশে থাকবে।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন ৩০টি। এর মধ্যে কার্য-অধিবেশন ২৫টি (১টি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, ১টি স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এবং ১টি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা ২টি। এছাড়া অংশগ্রহণকারী কার্যালয়: ১টি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]