শিরোনাম
‘আদেশ পৌঁছামাত্র মুফতি হান্নানের দণ্ড কার্যকর’
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৭, ১৫:৪৪
‘আদেশ পৌঁছামাত্র মুফতি হান্নানের দণ্ড কার্যকর’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, ফাঁসির আদেশ হাতে পৌঁছামাত্র আমরা হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ তার দুই সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবো। তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।


বুধবার ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের যমুনা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


আইজি প্রিজন বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্বাহী আদেশ এখনো আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। তিনজনের ফাঁসি কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনজনের কাকে কোন কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।


এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসির বিরুদ্ধে করা রিভিউ খারিজের রায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে এসে পৌঁছায়।


এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার কর্তৃপক্ষ দু’জনকে এ রায় পড়ে শোনায়।


তিন আসামির মধ্যে হরতাকুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল রয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। আরেক আসামি দেলোয়ার ওরফে রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।


উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে যান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। ফেরার পথে ফটকের কাছে গ্রেনেড হামলায় আনোয়ার চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন, নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।


এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নান, জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ও দেলোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। গত ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগ খারিজ করেন। গত ১৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পেছনের মূল হোতা হিসেবে মুফতি হান্নানের নাম উঠে আসে।


মুফতি হান্নানের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সভামঞ্চের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় করা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান।


বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com