চুমুক রেস্টুরেন্টের ২ মালিকসহ কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার আটক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪, ২১:১৩
চুমুক রেস্টুরেন্টের ২ মালিকসহ কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার আটক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর বেইলি রোডের আগুন লাগা ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামের একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের নিচতলার চা-চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিকসহ কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে হচ্ছে।


১ মার্চ, শুক্রবার তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন, চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ব্যবস্থাপক মো. জিসান।


শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।


পুলিশের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিচতলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা খাবার চা-কফির ছোট রেস্টুরেন্ট। ছোট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজও সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলা জনিতকারণে মৃত্যু অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবেন। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এ ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


এই আগুনের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোন অবহেলা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এই ঘটনায় যার দায় পাওয়া যাবে তাঁর বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বৃহস্পতিবারের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছেন‌ । নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুজনের লাশ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয়জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


তিনি আরও বলেন, আগুনের ঘটনায় ডিএমপি ও সিআইডি ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেছে। গতকালের ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সব ধরণের সহযোগিতা করা হয়।


এই ভবনে এতোগুলো গ্যাস সিলিন্ডার কোথা থেকে এলো এবং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হলো এসব অনেক ধরণের প্রশ্ন সামনে আসে। সেসব প্রশ্নের জবাব ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছ থেকে আপনারা (সাংবাদিকরা) জেনেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত ও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


যাদের এ ধরনের ব্যবসা কিংবা রেস্টুরেন্ট রয়েছে তাদের উদ্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. মহিদ উদ্দিন বলেন, শুধু ব্যবসার কথা চিন্তা করবেন না। যদি জীবনের নিরাপত্তার কথা আগে চিন্তা করবেন। বাইরের দেশগুলোতে দেখেছেন জরুরি বের হওয়ার জন্য আলাদা সিঁড়ি রয়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com