রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সাহায্য চাইলেন কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৮
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সাহায্য চাইলেন কৃষিমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আসন্ন পবিত্র রমজানে বাংলাদেশকে রফতানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সহযোগিতা কামনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।


৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ সহায়তা চান।


এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।


কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দুদেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাবও দেন তিনি।


এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রফতানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন ড. শহীদ।


ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ভারতেও মাঝেমধ্যে কোনও কোনও পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়। দাম বেড়ে যায়। সেজন্য, অনেক সময় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় দেয়া হয়ে থাকে।


কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের সায়েন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার।


এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল। কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসেবে ভারতে আছি।


পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা ফসলের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারবো। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে।


তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগ-সুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করবো।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com