খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।
২৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না। এ সময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।
এ বছর আমন মৌসুমে দুই লাখ টন আমন ধান, চার লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিকগণ, কৃষক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা সংযুক্ত ছিলেন।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]