ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিরপুরে জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ক্রিস জর্ডান। এই পেসারের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন শান্ত। এরপর একই ওভারে তাসকিন আরও একটা বাউন্ডারি হাকালে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি লিটন দাস। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন তিনি। কিছুতেই যেন খোলস ছেড়ে বের হতে পারছেন না এই ওপেনার। ৯ রান করে লিটন সাজঘরে ফেরায় ভাঙে ১৬ রানের উদ্বোধনী জুটি।
লিটনের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রনি তালুকদার। এই সিরিজ দিয়ে দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এই ওপেনার উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। জোফরা আর্চারের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে নামের পাশে যোগ করেছেন ১৪ বলে ৯ রান।
২৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার ফিরলে বাংলাদেশের আকাশে শঙ্কার কালো মেঘ জমে। তবে শান্ত-হৃদয় জুটিতে সেই শঙ্কার মেঘ উড়ে গেছে। দুই তরুণের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দশম ওভারে দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারলেন না হৃদয়।
১১তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন রেহান আহমেদ। অভিষিক্ত এই স্পিনার নিজের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। তার করা শট এবং ওয়াইড ডেলিভারীতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন তিনি।তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান।
এরপর মিরাজ এবং শান্তর ৪১ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। তবে ২০ রান করে মিরাজ সাজঘরে ফিরলে আবারও ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। এরপর সাকিব-আফিফ দ্রুত ফিরলে চেপে ধরে ইংলিশরা। তবে শান্ত এক পাশ আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন। তার - রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বিবার্তা/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]