রাজনৈতিক বিবর্তনের নীরব সাক্ষী বঙ্গভবন এবার নতুন ইতিহাস
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৪
রাজনৈতিক বিবর্তনের নীরব সাক্ষী বঙ্গভবন এবার নতুন ইতিহাস
সানজিদা আক্তার
প্রিন্ট অ-অ+

ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরব ও  প্রকৃতির মেলবন্ধন দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত প্রাসাদ বঙ্গভবন সম্পর্কে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। সেই কৌতূহল মেটাতে অপেক্ষার পালা শেষ। ইট, কাঠের শহরে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে খুলে দেয়া হয়েছে বঙ্গভবনের সুরক্ষিত দ্বার- তবে সীমিত আকারে। সাধারণ মানুষের কাছে যা ছিল আরাধ্য, তা আজ বাস্তবে ধরা দিয়েছে।


ইতিহাসের পালাবদল, রাজনৈতিক বিবর্তন আর নানা ঘটনার নীরব সাক্ষী এই ভবনটি যা এখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও সরকারি বাসভবন। 


বঙ্গভবনকে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে তোশাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের আধুনিকায়ন এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া আধুনিক ল্যান্ডস্কেপে সাজানো ২০৪ বিঘা জমিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর সবুজ উদ্যান ও বৃক্ষরাজি। সাথে আছে পাখ-পাখালির কোলাহল।


বঙ্গভবন, ইট-পাথরের শহরে সবুজের গালিচা আর প্রকৃতির অনন্য সমন্বয়। বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাতে আরো প্রাকৃতিক হয়ে উঠেছে বঙ্গভবন। ঐতিহাসিক বঙ্গভবনকে মানুষের কাছে নিয়ে যাবার চেষ্টাই যেন নতুন ইতিহাস হয়ে থাকল দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্মৃতির পাতায়।



আর কয়েক মাস বাদেই ছাড়তে হবে বর্তমান রাষ্ট্রপতির দশ বছরের স্মৃতির প্রাসাদ। তবে তার এই উদ্যোগ সত্যিই অনন্য উদহারণ হয়ে থাকবে। তাইতো তিনি উদ্বোধনকালে বলেছেন, আলো আসুক এই অন্ধকার ঘোচাতে আর  অজানা ইতিহাসকে দেখানোর জন্য।



মুক্ত আকাশ, জলাধার আর অবারিত সবুজের সমারোহে গড়ে ওঠা এই স্থাপত্যের গোড়াপত্তন ঘটে ১৯০৫ সালে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের ফলে সৃষ্ট পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন ঢাকার নবাব পরিবারের দিলকুশা বাগানবাড়ির দক্ষিণাংশে লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের বাসস্থান হিসেবে অস্থায়ী লাটভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গভর্নরের অফিস ও বসবাসের জন্য নির্মিত হয় একটি টিম্বার প্যালেস বা কাঠের প্রাসাদ। স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা হিসেবে ১৯০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নবনির্মিত অস্থায়ী গভর্নমেন্ট হাউজে প্রবেশ করেন। মূলত এ দিন থেকেই বঙ্গভবনের যাত্রা শুরু। অচিরেই ভবনটি ‘দিলকুশা গভর্নমেন্ট হাউজ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।


১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এটি পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথম গভর্নর ছিলেন স্যার ফ্রেডারিক বোর্ন। এ সময় ‘গভর্নমেন্ট হাউজ’ এর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘গভর্নর হাউজ’। ১৯৬১ সালের ৯ মে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ছাদের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। ফলে তৎকালীন গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আযম খান ক্ষতিগ্রস্ত ভবন সংস্কারের পরিবর্তে একটি নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৬১ সালের জুন মাসে তৎকালীন গণপূর্ত বিভাগ (সিএন্ডবি) ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ শুরু করেন এবং গভর্নর আযম খান ১৯৬৪ সালের জানুয়ারি মাসে এটি উদ্বোধন করেন।


১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ১০ এপ্রিল অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয় যা ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়। তাঁর অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ ২৩ ডিসেম্বর গভর্নর হাউজে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভা করেন। সেই সভায় গভর্নর হাউজকে নতুনভাবে ‘বঙ্গভবন’ নামকরণ করা হয়।



বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তিত হলে তিনি ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।


১৯৮৫ সালে বেশ বড় পরিসরে বঙ্গভবন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এর অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ও অলংকরণের কাজে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়। অভ্যন্তরীণ নান্দনিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে সংযোজন করা হয় দুর্লভ চিত্রকর্ম।


পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এর সময়ে ২০১৬ সালে নির্মাণ করা হয় অত্যাধুনিক সুইমিংপুল কমপ্লেক্স। রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০২১-২২ সালে বঙ্গভবনে ব্যাপক সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্রপতির অফিস কক্ষ, হরিণ পুকুর, গ্যালারি হল, দরবার হল, ভিআইপি অপেক্ষাগার-১, এয়ার রেইড শেল্টার, কেবিনেট হল, বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর ইত্যাদি।


এয়ার রেইড শেল্টার


১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় গভর্নরের নিরাপত্তার জন্য একটি এয়ার রেইড শেল্টার নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর এয়ার রেইড শেল্টারের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এটি সংস্কার করে পুনরায় ১৯৬৫ সালের আদলে নিয়ে যাওয়া হয়।


বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর


বঙ্গভবনের প্রাচীন মানুক হাউসকে সংস্কারের মাধ্যমে ‘বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যেখানে বঙ্গভবনের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করা হচ্ছে। ১৫০ বছরেরও অধিক পুরানো মানুক হাউস এর আগে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা হিসেবে ব্যবহৃত হত। উনিশ শতকে মানুক নামের এক আর্মেনিয় ব্যবসায়ী এখানে বসবাস করতেন।


বর্তমানে তোশাখানার বেশ কিছু উপহার সামগ্রী সংরক্ষণ ও সর্বসাধারণের দেখার জন্য বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়েছে। মানুক হাউসকে তোশাখানা জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময় এর দেয়ালে ছোটো ছোটো ইট অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থায় পাওয়া যায়। যার কিছু অংশ কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সংরক্ষণ করা হয়েছে।


প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেট কার প্রদর্শন


তোশাখানার পাশেই প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেট কার। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিগণ গাড়িটি ব্যবহার করতেন। ট্রাস্কো ব্রেমেন নামে একটি জার্মান কোম্পানি নির্মিত  প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেট কারটি একটি অভিজাত এবং অতি-বিরল প্রসারিত লিমুজিন যা মূলত ডব্লিউ ১২৬ মার্সিডিজ-বেঞ্জ ৫০০ এসইএল মডেলের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। কার শেডে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের ব্যবহৃত গাড়ী প্রদর্শন করা হচ্ছে।


বঙ্গভবনের অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় সাধকের মাজার, দানা দীঘি, মাজার পুকুর, সিংহ পুকুর উল্লেখযোগ্য। সুদীর্ঘ ইতিহাস আর ইসলামি, ব্রিটিশ ও মোঘল স্থাপত্যরীতিতে গড়ে উঠা এই ভবন তার স্থাপত্যশৈলীকে ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশের এক অনন্য প্রতীক।


বঙ্গভবনের সাথে মিশে আছে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য- যা আগামী প্রজন্মকে শিকড়ের সন্ধানে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে। সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক বঙ্গভবন বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার স্মারক হিসেবে চির ভাস্বর হয়ে থাকবে।


দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করা হয়েছে বঙ্গভবন। গত ২৪ জানুয়ারি বঙ্গভবনে তোশাখানা জাদুঘরের উদ্বোধন কালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কথা জানান। তিনি এ উপলক্ষ্যে একটি গাছের চারা রোপন করেন। রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ , গৃহায়নও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকসহ সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।


রাষ্ট্রপতি তোশাখানা জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষের স্থাপনাসমূহ ঘুরে দেখেন। বঙ্গভবনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জরার্জীণ অবস্থায় পড়ে থাকা এ তোশাখানাকে একটি আধুনিক মান সম্পন্ন জাদুঘরে পরিণত করা হয়। তোশাখানায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী এবং ঐতিহাসিক ছবি সংরক্ষিত রয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য এটি সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত থাকবে। 



পাশাপাশি, বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনেও যে কেউ তোশাখানাটি যাতে দেখতে পারে এবং বঙ্গভবন সম্পর্কে জানতে পারে সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। এই ভার্চুয়াইল ভিজিট পৌঁছে দিবো সারা বিশ্বের কাছে।


এর আগে রাষ্ট্রপতি সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। ১৯৬৫ সালে নির্মিত পরিত্যক্ত এ শেল্টারটিকে বঙ্গভবনে আগত দর্শনার্থীদের জন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এয়ার রেইড শেল্টার হাউজকে ১৯৬৫ সালের আদলেই সংস্কার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি কার শেডও পরিদর্শন করেন। 


এই উদ্যোগ সফল করার পেছনে অন্যতম কারিগর ছিল বঙ্গভবনের সহকারী মিলিটারি সেক্রেটারি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রাজু আহমেদ। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানেই কাজটি সফলতার মুখ দেখে। তিনি বিবার্তাকে বলেন, কাজ করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি। কারণ ইতিহাস একেবারেই অজানা ছিল সবার। 


জেনারেল রাজু আহমেদ, কাঠামোগত সংস্কার করতে যত না বেগ পেতে হয়েছে তার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নতুন করে পুরনো এই ইতিহাস খুঁজে সামনে আনাটাই। কতটুকু পেরেছি জানি না তবে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। মানুষ অন্তত একটা হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের পুনরুজ্জীবিত রূপ দেখতে পাবে।


প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন বিবার্তাকে রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে জানান, তিনি এই কাজটাকে একটা অনন্য কাজ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। এটি যেন সবার জন্য উন্মুক্ত হয়, তার একান্ত অভিপ্রায়ে করা হয়েছে। 


মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গভবনের ভিতরে সাধারণত মানুষ আসতে পারে না, এটার ভিতরে কি আছে, না আছে, কেউ কিছুই জানে না। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য যা আছে দেশবাসী এ সম্পর্কেও মানুষ জানতে পারবে। 


বঙ্গভবনের তোশাখানা জাদুঘরকে শতাব্দীকালের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ এবং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ আগন্তুকরা পরিদর্শনকালে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে সক্ষম হবেন।


তিনি আরোও বলেন, বঙ্গভবনের অনেক স্থাপনা দেখে মোটামুটিভাবে তারাও আকৃষ্ট হবেন এবং আমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব অনেক উঁচু হবে বলে আমার বিশ্বাস।


এক সময় বঙ্গভবনের নাম ছিল মানুক হাউজ। এর পর গভর্নর হাইজ। ভিক্টোরিয় স্থাপত্য শিল্পের সাথে ইসলামি ও বাঙালি স্থাপত্যের সমন্বয়ে অনন্য এক নিদর্শন এ ভবনটি এখন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন।


বিবার্তা/ সানজিদা/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com