শিরোনাম
সংক্রমণের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে: স্বাস্থ্যের ডিজি
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২৮
সংক্রমণের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে: স্বাস্থ্যের ডিজি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষ এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ তথ্য জানান।


স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছে। দুই সপ্তাহ আগেও আমাদের সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচে ছিলো। আজ (সোমবার) শনাক্তের হার আমরা দেখতে পেয়েছি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশে চলে এসেছে।


তিনি বলেন, করোনার নতুন যে ধরন, ওমিক্রন। অনেকেই ধারণা করছেন ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু আমাদের জনমনে এরকম একটা ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, ওমিক্রন সংক্রমিত হলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। ওমিক্রনে খুব বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার বা সমস্যা হয়না। কিন্তু আমরা বলতে চাই, দেশে এখনো ডেল্টার সংক্রমণ হচ্ছে, তবে ওমিক্রনও ছড়িয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত ডেল্টা ধরনে আক্রান্তের হার সর্বাধিক। ওমিক্রন বাড়ছে, তবে সেটা ডেল্টার মত নয়। ঢাকায় ওমিক্রন বাড়ছে, কিন্তু ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহরে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব নেই বললেই চলে। অন্যান্য শহরে যেটা বাড়ছে, তা হচ্ছে ডেল্টা ভাইরাস। এর আগে আপনারা দেখেছেন, ডেল্টা ভাইরাসের ভয়াবহতা কেমন ছিলো।


সংক্রমণের অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে ‘অশুভ ইঙ্গিত’ উল্লেখ করে খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সে তুলনায় অন্যান্য বিভাগে কম। ফলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি ১১ দফা নির্দেশনা মেনে না চললে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১১ দফা মানাতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও সহযোগিতা দরকার।


সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক বিধি মেনে চলতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে দ্রুততার সঙ্গে টিকা নিতে হবে। আমরা বয়স্ক ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজের টিকা দিচ্ছি। বুস্টার ডোজের বয়সসীমা ৫০ বছর করা হয়েছে। টিকা কার্যক্রমকে বেগবান করতে আমরা আরো পদক্ষেপ নিয়েছি।


করোনা ভাইরাসের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে লকডাউন দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, লকডাউন দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জীবন ও জীবিকার বিষয়টি ভাবতে হয়। সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে আমরা সেদিকে লক্ষ রাখছি। সমস্ত কিছু বিচার বিশ্লেষণ করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন পর্যন্ত লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।


তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা যেনো এমন পরিস্থিতি তৈরি না করি, যেনো লকডাউন দিতেই হয়। আমরা যদি আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বজায় রাখতে চাই, আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাই, গত দু’বছর আমরা যে কঠিন অবস্থা পার করেছি, সেই অবস্থায় যদি আবার না যেতে চাই, তাহলে আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে মাস্ক পড়তে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই আসুন আমরা সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ এবং অংশগ্রহণ করাও পরিহার করি।


ফ্লোরা বলেন, শুধু পরীক্ষা ও শনাক্ত করলেই চলবে না। রাজধানীসহ সারাদেশে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।


তিনি আরো বলেন, যাদের এনআইডি বা জন্মসনদ নেই তারাও কেন্দ্রে এসে কাগজে নাম লিখে টিকা নিতে পারবেন। তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই এমন ১২-১৭ বছর বয়সীদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খুঁজে টিকার আওতায় আনা হবে।


বিবার্তা/আশিক

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com