বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ আরো বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।সম্প্রতি ‘সামনে থেকে নেতৃত্বদান : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারী নেতৃত্ব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানান।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।নিরাপত্তা পরিষদের ল্যান্ডমার্ক রেজ্যুলেশন- ১৩২৫ এর ২০তম বার্ষিকী স্মরণে শুক্রবার যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ, কানাডা ও যুক্তরাজ্য মিশন।
রাবাব ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষায় নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধির জন্য শান্তিতে নারীর ভূমিকাকে সামগ্রিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
এসময় শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশগুলোতে বিশেষ করে ‘যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দমন’, ‘পারষ্পরিক আস্থার সম্পর্ক তৈরি’ এবং ঐ সব সমাজের নারীদের দেশ গঠনের কাজে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নারী শান্তি রক্ষীগণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহের চলমান প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী’ শীর্ষক নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক রেজ্যুলেশন-২৫৩৮ এর উদাহরণ টেনে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, মিশনসমূহে নারীবান্ধব স্থান ও পরিবেশ তৈরি এবং ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা (ডব্লিউপিএস)’ এজেন্ডার বাস্তবায়নের আহবান জানান।
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে ডব্লিউপিএস এজেন্ডা বাস্তবায়নার্থে গতিশীল প্রচেষ্টা গ্রহণ এবং কান্ট্রি অফিসসমূহসহ জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনায় আভ্যন্তরীনভাবে এটি কার্যকর করার প্রতিও আহবান জানান তিনি।
ইভেন্টটিতে আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রোস, কানাডার প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল জোনাথন ভেঞ্চ, যুক্তরাজ্য মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোনাথন অ্যালেন।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]