দেশের মধ্যে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে নদনদীর পানি বাড়ছে। বর্তমানে চারটি নদীর পানি চারটি স্টেশনে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৪৬ মিলিমিটার, যমুনার পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৪ মিলিমিটার, গুড়ের পানি সিংড়া পয়েন্টে ৫২ মিলিমিটার এবং জাদুকাটা নদীর পানি লরেরগড় পয়েন্টে ১৪৫ মিলিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণাধীন পানি স্টেশনগুলোর মধ্যে ৬৬টি স্টেশনে পানি বাড়ছে, ৩২টির কমছে এবং ৩টির অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
তারা আরো বলছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে, অপরদিকে যমুনা নদীর পানি বাড়তে পারে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উজান মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি বাড়ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, তা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের লরেরগড়ে ২০০ মিলিমিটার, পঞ্চগড়ে ৭৭, নারায়ণহাটে ৬২, দুর্গাপুরে ১১৬, পাঁচপুকুরিয়ায় ৬৯, চট্টগ্রামে ৫৯, জাফলংয়ে ৯৪, মহেশখোরায় ৬৮, রাঙ্গামাটিতে ৫৮, ডালিয়ায় ৮৫, লালাখালে ৬৫ ও নাকুয়াগাঁওয়ে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
একই সময়ে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের উজানে, অর্থাৎ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪২৪, শিলংয়ে ২৪৫ ও পাসিঘাটে ৭২ মিলিমিটার।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]