শিরোনাম
‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ আইনের খসড়া অনুমোদন
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:১৬
‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ আইনের খসড়া অনুমোদন
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং গবেষণা কর্মে উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খুলনায় দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা, আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।


প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত হন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।


তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা আজ খুলনা বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা, আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, এই আইনের মাধ্যমে চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে। প্রস্তাবিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে উন্নত চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারিত হবে।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ-গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে খুলনা বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।


তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে খুলনা অঞ্চলের যত মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট বা অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত যেসব ইনস্টিটিউট থাকবে সবই এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে আসবে।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, এর আগেও এটি নীতিগত অনুমোদেনের জন্য এসেছিল। তখন বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে এটার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল এবং লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত পাওয়ার পর স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর আগে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একই রকম আইন করা হয়েছে। এখন দেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে পাঁচটি ।


তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। সমাবর্তন বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান, যেখানে রাষ্ট্রপতি থাকার কথা, সেখানে যদি উনি থাকতে না পারেন, তবে, উনি যাকে নির্বাচন করে দেবেন, তিনি তার পক্ষে সেখানে প্রধান হিসেবে থাকবেন।


সচিব বলেন, নতুন আইনে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভূমিকা উল্লেখ রয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে আইনে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় কমিটি ও শৃঙ্খলা বোর্ড গঠন এবং এদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, ২০ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে রাষ্ট্রপতি এবং স্পিকারের মনোনীত প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অংশীজন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিন্ডিকেট গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।-বাসস


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com