সরকার করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক আলোচনা সভার ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেতে সরকার সর্বত্র যোগাযোগ করেছে।আমরা আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য যেখানে পাওয়া যাবে সেখান থেকেই তা আনব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বে যেখানেই প্রথম সম্ভাব্য কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হবে, তা পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। সম্ভাব্য কভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেতে সরকার সর্বত্র যোগাযোগ করেছে।
গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ চীনের বেসরকারি সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের একটি সম্ভাব্য কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত বা তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ ভ্যাকসিন অ্যাক্সেস পেতে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথেও যোগাযোগ করেছে এবং করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকা পেতে ঢাকা একটি ইইউ তহবিলেও অর্থ সরবরাহ করেছে।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের বেইজিং ব্যুরোর প্রতিনিধি সুই-লি উই জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের নিয়ামক হিসেবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে চীন। এশিয়া থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব বাড়াতে চাইছে তারা।
এজন্য বাংলাদেশকে ১ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন ফ্রি দিচ্ছে বেইজিং।
করোনার ভ্যাকসিনের দৌড়ে এখন পর্যন্ত চীন-রাশিয়া সবচেয়ে এগিয়ে। রাশিয়া জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে ব্যবহার শুরু করেছে। ‘স্পুটনিক ভি’ নামের ওই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল এখনো শেষ হয়নি।চীনের চারটি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এত ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে নিতে পারেনি।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]