লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার পর বাংলাদেশেও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়মানুযায়ী ব্যবহার ও গুদামজাত হচ্ছে কি–না তাতে তদারকি বাড়িয়েছে বিস্ফোরক অধিদফতর।
জানা গেছে, গত অর্থবছর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এই পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৩৯৪ মেট্টিক টন। এর আগের ২০১৮–১৯ অর্থবছরে আমদানি হয় ৫১৮ টন, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সবমিলিয়ে গত ছয় বছরে এক হাজার ৭৩৮ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানির হিসাব পাওয়া গেছে।
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরক তৈরির উপাদান। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সার হিসেবে, খনিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল বিস্ফোরক তৈরিতে এবং মেডিকেলে নাইট্রাস অক্সাইড উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় বলে বিস্ফোরক অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের অধীনে ২০১৮ সালে সরকার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিধিমালা প্রণয়ন করে। এই বিধিমালার আওতায় লাইসেন্স ছাড়া কেউ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানি, খালাস, পরিবহন, ব্যবহার করার সুযোগ নেই। গুদামে রাখার জন্যও কঠোর নিয়মাবলী ও শর্ত রয়েছে।
সংস্থাটির হিসেবে, সরকারি প্রতিষ্ঠান মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এবং বেসরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানির লাইসেন্স রয়েছে। খনিতে পাথর উত্তোলনে বিস্ফোরনের জন্য এটি ব্যবহার হয়। আর চিকিৎসায় ব্যবহৃত নানা উপাদান তৈরির জন্যও এটি ব্যবহার হয়।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]