জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও এর প্রধান নির্বাহী ( ডা. সাবরিনার স্বামী) আরিফ চৌধুরীকে মুখোমুখি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জেকেজিতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের নামে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা চৌধুরী। তবে এর দায় নিজের নয়, স্বামী আরিফ চৌধুরীর বলে দাবি করেছেন তিনি। স্বামীর এমন অনৈতিক কাজ দেখে তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরে এসেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। এখন এই তথ্য যাচাই করতে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফকে মুখোমুখি করতে চায় ডিবি।
এজন্য মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আরিফ চৌধুরীকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে ডিবি।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, ডা. সাবরিনা অনেক তথ্যই দিচ্ছেন এসব যাচাই-বাছাই করতে আরিফ চৌধুরীকেও প্রয়োজন। এজন্য তারও রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।আরিফুল কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতেন। করোনা পরীক্ষার বিষয়ে জেকেজির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তি তিনিই করিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সব অপকর্মের দায় দিচ্ছেন তার কারাবন্দি স্বামী আরিফের ওপর। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার কেঁদে কেঁদে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করছেন। এমনকি রিমান্ডের জন্য আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের সামনেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেন। সোমাবার চারদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর হওয়ায় মঙ্গলবার ডা. সাবরিনাকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর ৪টি মামলা রুজু হয় তেজগাঁও থানায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে জেকেজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করত। বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের কথা থাকলেও প্রতিটি পরীক্ষার জন্য নেয়া হতো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ১০০ ডলার। এসব নমুনার পরীক্ষা না করে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে দিত জেকেজি। এভাবে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে জেকেজি হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা।
বিবার্তা আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]