শিরোনাম
দুর্নীতিতে জড়িতদের ধরে আমরাই চোর হয়ে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২০, ১৮:২৪
দুর্নীতিতে জড়িতদের ধরে আমরাই চোর হয়ে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়। দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের আমরা ধরে যাচ্ছি। তবে এদের ধরে যেন আমরাই চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরা ধরার পর আমাদের দোষারোপ করা হয়। তবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই অনিয়মগুলো আমরা নিশ্চয়ই মানবো না। যে যাই হোক তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেবো এবং এটা অব্যাহত থাকবে।


বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কথা বলেন। করোনা মোকাবিলায় সরকার ও তার দল আওয়ামী লীগের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।


শেখ হাসিনা বলেন, আমরা করোনা মোকাবিলায় একটি নীতিমালাও গ্রহণ করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারি ব্যয় এক্ষেত্রে যদি বৃদ্ধি পায়, তা পাবে। এক্ষেত্রে যাতে বেশি কর্মসৃজন হয়। মানুষকে ঘরে বসে থাকতে না হয়। তারা যাতে কাজ পায় সেই ব্যবস্থা করবো। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আর্থিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করবো।


করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দিয়ে গেছে ১৯৭৫ এর পরে যারা রাতের অন্ধকারে অস্ত্র হাতে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারাই। কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এরা মানুষকে দুর্নীতি শিখিয়েছে, কালো টাকা শিখিয়েছে, ঋণখেলাপি শিখিয়েছে। তারা এই সমাজটাকে কলুষিত করে গেছে।


শেখ হাসিনা বলেন, এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল, অনিয়মটাই নিয়ম ছিল। সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে। কিন্তু আমরা আসার পর সেগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি। যতটুকু পারি সেগুলো আমরা শুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই অনিয়মগুলো আমরা নিশ্চয়ই মানবো না।


বাজেট নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে বসে বাজেটের সমালোচনা করা এটা অনেকেই করতে পারে। কিন্তু মাঠে গিয়ে কাজ করার মতো কয়জন আছে? বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক যারা তারাই শুধু এই কাজ করে। তারাই শুধু মাঠে গিয়ে কাজ করে। অনেক উন্নত দেশ বাজেট প্রণয়ন করতে পারেনি। কিন্তু আমরা করেছি। এজন্য অর্থমন্ত্রীসহ এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিল তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।


অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী পাটকলগুলো বন্ধ করার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, পাটকলের শ্রমিকদের আমরা মোবাইলের মাধ্যমে বেতন দিয়ে দিলাম। ২৫ হাজার শ্রমিকের সঙ্গে আরও আছে অনিয়মিত শ্রমিক। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বছরের পর বছর বেতন দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এভাবে একটি শিল্প চলতে পারে না। এই কারখানাগুলো সব থেকে পুরনো। সেই পঞ্চাশ-ষাটের দশকে তৈরি। এই শিল্পগুলো দিয়ে আসলে লাভ করা সম্ভব নয়। পাটের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। সেই জন্য আমরা চাচ্ছি এটাকে নতুনভাবে তৈরি করতে।


তিনি বলেন, পাট আমাদের অর্থকরী ফসল। আবার কৃষিপণ্য। আমরা পাটের জন্ম রহস্য আবিষ্কার করেছি। গবেষণা করে বিভিন্ন পাটজাত পণ্য আবিষ্কার করছি। পরিবেশগত কারণে সবাই সিনথেটিক পণ্য থেকে মুক্তি চায়। সেখানে পাট হচ্ছে বিকল্প। ফলে বিশ্বব্যাপী এ খাতে আমাদের বিশাল সম্ভাবনা রয়ে গেছে। কিন্তু এজন্য আমাদের কারখানাগুলোকে সময়োপযোগী করতে হবে। আধুনিক করতে হবে। নতুন করতে হবে। সেজন্য আমরা পাটের শ্রমিকদের মজুরির টাকাসহ সব পাওনা একবারে শোধ করে দেবো। এজন্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।


বিবার্তা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com